তাইওয়ানকে ঘিরে বড় ধরনের সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে চীন। এতে নৌ ও বিমান মহড়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান ত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মাথায় বেইজিংয়ের তরফে এমন ঘোষণা দেওয়া হলো। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, তাইওয়ানের আশেপাশের ছয়টি এলাকায় স্থানীয় সময় দুপুরে তাদের মহড়া শুরু হবে। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে ‘পুনর্মিলন অপারেশন’ এর জন্যই এই পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ সং ঝংপিংকে উদ্ধৃত করে গ্লোবাল টাইমস বলছে, ‘যে অপারেশনাল পরিকল্পনাগুলো বর্তমানে মহড়া করা হচ্ছে ভবিষ্যৎ সামরিক সংঘাতের ক্ষেত্রে এগুলো সরাসরি যুদ্ধ অভিযানে রূপান্তরিত হবে।’
এদিকে ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর চীনের ২৭টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে তাইপে। বুধবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফে এমন অভিযোগ করা হয়।
বেইজিংয়ের ক্রমাগত হুমকি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার তাইওয়ান সফর শুরু করেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। বুধবার তিনি অঞ্চলটি ছেড়ে যান। মার্কিন স্পিকারের এই সফরের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় চীন। তাইওয়ান উপকূলে সামরিক মহড়া চালায় তারা। বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পেলোসির তাইওয়ান সফরকে ঘিরে বিদ্যমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে উসকানিদাতা আর চীন আক্রান্ত পক্ষ।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছিন্ন অংশ বলে দাবি করে চীন। তারা তাইপেকে বিশ্ব মঞ্চ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে চায়। এছাড়া তাইপের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যেকোনও দেশের যোগাযোগের বিরোধিতা করে আসছে বেইজিং।