নাটোরে কলেজশিক্ষক খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নাটোরে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, সোমবার (১৫ আগস্ট) তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে। খায়রুনের মৃত্যুকে আত্মহত্যা মনে হলেও আত্মহত্যায় মামুন প্ররোচিত করেছিলেন কিনা সেসব বিষয়ে এখন তদন্ত চলছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সামিউল ইসলাম শান্ত জানান, মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে। তবে ভিসেরা রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে।
নাটোর সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, রোববার বিকেলে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়। ওই সময় মরদেহের গলায় একটি দাগ ছাড়া অন্য কোনো জখম বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এর আগে রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে এশার নামাজের আগে খায়রুনের গ্রামের বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার খামার নাচকৌর এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকী কওমী মাদরাসা মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে এক ছেলের জননী খায়রুন নাহারের ডিভোর্স হয়েছিল আগের স্বামীর সঙ্গে। পরে ছয় মাসের প্রেমের পর গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে মামুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ৬ মাস পর গত জুলাই মাসে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরপর রোববার ভোরে ভাড়া বাসা থেকে খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।