নোয়াখালী শহরের মাইজদীর বাড়ি থেকে মঙ্গলবার ডিবি পরিচয়ে মহাজোটের শরিক জাসদের (ইনু) জেলা সভাপতি নুর আলম চৌধুরী পারভেজকে (৬২) তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে পরিবার। প্রথমে আটকের তথ্য অস্বীকার করলেও পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় ডিবি।
পরিবারের বরাত দিয়ে জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক বকসী জানান, রাজনীতির পাশাপাশি পারভেজ ব্যবসা করেন। এলাকায় তিনি সজ্জন হিসেবে পরিচিত। অতীতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা এমনকি জিডি পর্যন্ত নেই। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ সাদা পোশাকে জেলা ডিবির ১৫-১৬ সদস্য বাড়িতে এসে তাঁকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় পরিবারের সদস্যরা কারণ জানতে চাইলে তাঁরা বলেননি। পরে আটকের কথা স্বীকার করে। পরে মঙ্গলবার রাতভর এবং বুধবার দুপুর পর্যন্ত পারভেজকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তাঁকে কারগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জেলা ডিবির ওসি নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, বিশেষ কারণে পারভেজকে প্রথমে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে পরে তাঁকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ এ নিয়ে কাজ করছে। রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম বলেন, একটি গোয়েন্দা সংস্থার সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পারভেজকে আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে পাওয়া তথ্য পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
সূত্র জানায়, পারভেজ জাসদ করলেও তাঁর লন্ডন প্রবাসী ছোট ভাই শামছুল আলম লিটন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। লিটন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজ উদ্দিন আহমেদের উপ-প্রেস সচিব ছিলেন। তিনি ‘সুরমা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক এবং সম্প্রতি পত্রিকাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।