শুক্রবার , ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

‘আ.লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট নেই, ভাঙার প্রশ্নও নেই’

প্রতিবেদক
ukadmin
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে বর্তমানে জাতীয় পার্টির কোনও জোট নেই। তাই ভাঙার কোনও প্রশ্নও নেই। যেদিন থেকে বিরোধী দলে আছি, সেদিন থেকেই সরকারি জোটে নেই।

শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের প্রতিনিধি সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সংগঠনটির সারা দেশ থেকে আসা প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী অংশ নিয়েছেন।

অতীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করে নির্বাচন করার বিষয়টি উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, অতীতে আমরা জোট করে একসঙ্গে নির্বাচন করেছি। আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতে ভালো কাজ করলে অতীতের মতো আগামীতেও একসঙ্গে নির্বাচন করার কথা ভাববো। তবে আস্থা হারিয়ে ফেললে তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে যাবো না।

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট কারচুপির মেশিন। ইভিএমের বিরুদ্ধে বলে আসছি আমরা। এটির মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না। এটি থাকলে সরকার যাকে চাইবে তাকে পাশ করিয়ে দিতে পারে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত এখনও নেননি জানিয়ে বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, এটি একটি কঠিন সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর দেখে, অবস্থা বুঝে, পরিবেশ বুঝে ব্যবস্থা নেব আমরা। তবে আগামীতে পরিস্থিতি দেখে মানুষ চাইলে, নেতাকর্মীরা চাইলে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারি। আমরা দেশ ও জনগণের স্বার্থে কথা বলতে চাই।

জাতীয় পার্টি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। যুদ্ধের ময়দানে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে ফায়ারিং স্কোয়াডে দেওয়া হয়। একইভাবে দলীয় শৃঙ্খলা, রীতি-নীতির বাইরে গেলে ফায়ার করতে দ্বিধা করবো না। সে যত বড় নেতাই হোক না কেন, যত প্রভাবশালীই হোন না কেন, তা তোয়াক্কা করবো না। দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতে বাধা এলে উড়িয়ে দিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।

হিন্দু মহাজোটকে তাদের দাবি-দাওয়া জাতীয় সংসদে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে জিএম কাদের বলেন, সেজন্য সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে। আপনারা সঠিকভাবে এলে যোগ্যদের সেই সুযোগ করে দেওয়া হবে। এ জন্য সংখ্যালঘুদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সবাই আপনাদের সমীহ করবে। আপনারা এগিয়ে যান, আমরা সঙ্গে আছি।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪২ শতাংশ ছিল। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে এখন দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। আগামীতে দেশের মানুষ আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।

শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনীতি ভালো নেই। ঋণনির্ভর হওয়ায় ট্যাক্স বাড়ানোর দিকে যাচ্ছে। মেগা প্রকল্পে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে, তাতে বেশি দাম ও বেশি সময় যাচ্ছে। ঋণ পরিশোধের সময় চলে এসেছে। এখন আয় দিয়ে ব্যয় মেটানো সম্ভব না, ঋণ পরিশোধ দিতে গিয়ে দেশ দেউলিয়া হতে যেতে পারে। দুই-এক বছরের মধ্যে তেমন কোনও উন্নতি হবে না।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিকসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য