পুলিশের বিদায়ী মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘দেশে একধরনের নষ্ট রাজনীতির দুষ্ট চর্চা ছিল, এখনো রয়েছে। এই চর্চায় কেউ কেউ অন্যায়ভাবে আমাকে বিপক্ষে আবিষ্কার করেছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই, আপনারা ভালো থাকবেন।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজারবাগ পুলিশ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন। কাল শুক্রবার আইজিপি দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩৪ বছরের কর্মজীবন শেষে অবসরে যাচ্ছেন।
অবসরে যাওয়ার আগে শেষ কর্মদিবসে নিজের কর্মজীবনে নানা অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা সবাই মিলেই বাংলাদেশ। হাতে হাত রেখে দায়িত্ব পালন করে আমরা সবাই মিলে এগিয়ে যাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার ৩৪ বছর ৫ মাস ১৬ দিন কর্মজীবনের মধ্যে ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১২ বছর পুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পদে দায়িত্ব পালন করেছি। ডিএমপি কমিশনার, র্যাবের ডিজি ও সর্বশেষ আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছি।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনারা সমর্থন জুগিয়েছেন, দেশবাসীও সমর্থন জুগিয়েছেন। তাই সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’ বেনজীর আহমেদ বলেন, ধারাবাহিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকালে মানুষের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে তিনি চেষ্টা করেছেন। চাকরির শেষ দিন, মানে কাল থেকে জীবনের একটি পাতা উল্টিয়ে নতুন পাতা পড়ার চেষ্টা করবেন।
তিনি আরও বলেন, তার মানে কাল থেকে দেখা হবে না, কথা হবে না—এমনটি নয়। সামাজিক জীব হিসেবে সবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে, যেখানেই সুযোগ পাবেন একসঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ পুলিশের দুটি বিষয় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত উল্লেখ করে বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘কীভাবে আমরা সফলভাবে করোনা ক্রাইসিস অতিক্রম করেছি এবং সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশের সাফল্যের বিষয়ে সবাই জানতে চায়। কিছুদিন আগে জাতিসংঘে কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে, আমরা কীভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সফল হয়েছি।’
পোশাকে এটাই সর্বশেষ প্রেস ব্রিফিং—উল্লেখ করে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘বর্তমান পুলিশ আগের চেয়ে অনেক বেশি গণমুখী। আমাকে আপনারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, একইভাবে পরবর্তী দায়িত্বে যাঁরা আসবেন, তাঁদেরও সহযোগিতা করবেন।’