চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে জাহাজডুবির ঘটনায় চার জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ও বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে নদীর নতুন সেতু ও পতেঙ্গা এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এ ঘটনায় এখনও তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন।
চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ জানান, কর্ণফুলী নদীতে ‘এফবি মাগফিরাত’ নামে একটি জাহাজডুবির ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় জাহাজের চিফ অফিসার সাইফুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার আরও তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন—জাহাজের ক্যাপটেন ফারুক বিন আব্দুল্লাহ, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম ও ডক কর্মচারী রহমত মিয়া।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে কর্ণফুলী নদীর ইছানগর সি-রিসোর্স ডকইয়ার্ড ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ‘এফবি মাগফিরাত’ ডুবে যায়। এরপর বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে বুধবার (১২ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় ‘এমভি সুলতান সানজা’ নামে পাথরবাহী লাইটার জাহাজ ডুবে যায়। ওই জাহাজের নাবিকসহ ছয় জন নিখোঁজ রয়েছেন।
চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, ‘এফবি মাগফিরাত জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় সাত জন নিখোঁজ হন। এই জাহাজে মোট ২১ জন ছিলেন। ১৩ জন জেটিতে উঠতে সক্ষম হলেও সাত জন ডুবে যান। এর মধ্যে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে দুর্ঘটনার সময় আহত অবস্থায় উদ্ধার মো. বসর নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে মারা গেছেন।’
ওসি জানান, মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে কর্ণফুলী নদীর ইছানগর সি-রিসোর্স ডকইয়ার্ড ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ‘এফবি মাগফিরাত’ নামে জাহাজটি ডুবে যায়। ডকইয়ার্ডে তোলার সময় হঠাৎ ইঞ্জিন বিকল হয়ে ২ নম্বর বয়ার সঙ্গে লেগে জাহাজটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ডুবুরি দল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়েছে। এ সময়ে নিখোঁজ কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ লাইটার জাহাজ ইউনিয়নের সচিব এস এম রনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে একটি লাইটার জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বুধবার বিকাল ৩টায় এমভি সুলতান সানজা নামে একটি জাহাজ ডুবে যায়। কোস্টগার্ডের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই জাহাজ থেকে তিন জনকে উদ্ধার করে। জাহাজটিতে থাকা আরও ছয় জনের খোঁজ মেলেনি। সকাল থেকে বিভিন্ন ডুবুরি দল নিখোঁজদের সন্ধানে কাজ করছেন।’