গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন কোনও চাপ অনুভব করছে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশননার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও চাপ অনুভব করছি না। আমরা আমাদের কাজ করছি।’
রবিবার (১৬ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সিসিটিভি মনিটর করে গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন বন্ধ করে অনেকের বাহবা পেয়েছে ইসি, আবার রাজনীতিবিদদের থেকে সমালোচনাও পেয়েছে; এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি চাপ অনুভব করছেন কী না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে একই চিত্র দেখতে পেলে কী করবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আগাম কিছু বলতে পারছি না। আর এটা একটা ভিন্ন ধরনের নির্বাচন, এখানে নির্বাচকমণ্ডলীরা ভোট দেবেন। তারপরও সবাই বসবো, এ বিষয়ে এককভাবে আমি কিছু বলতে পারবো না যে, কালকে কী করবো বা আরও কী করবো। আপনারা দেখেন।’
এসময় সিসিটিভির প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘এই সিসিটিভিটা স্বচ্ছতা, ভোটাররা ভোট দিতে পারছে কিনা। আমরা কিন্তু কোনও পক্ষ নই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ভোটার যাতে ভোটটা দিতে পারেন।’
নির্বাচন মনিটরিংয়ে সিসিটিভি নতুন উদ্যোগ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘সিসিটিভির প্রচলনটা সাম্প্রতিক। আমরা এর আগে দুটি নির্বাচন করেছি। আর এটা নিঃসন্দেহে একটা অগ্রগতি- ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারে তা আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করি। এটা একটা ভালো উদ্যোগ।’
এদিকে জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ব্যবহার প্রশ্নে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘পরীক্ষামূলকভাবে আমরা সিসিটিভি স্থাপন করে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলছি। জাতীয় নির্বাচনে ৪২ হাজার কেন্দ্র ও ৪ লাখ বুথ থাকে। সেটা মনিটর করা সম্ভব। এটা আমাদের অনেক বড় আকারে করতে হবে। অনেক লোক নিয়োগ দিতে হবে। তখন মনিটরে আমরা পাঁচ জন নয়। আরও অনেক লোক থাকবে। আমাদের সচিবালয়ের কর্মকর্তারা আছেন। তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা সবাই মিলে মনিটর করবেন।’
তিনি জানান, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল কেন্দ্র ও কক্ষে সিটি ক্যামেরা থাকবে। একইভাবে (গাইবান্ধা-৫ এর মতো) মনিটর করা হবে।’