বল হাতে দুর্দান্ত বাংলাদেশ। একের পর এক সাফল্য আসছে। তাসকিন আহমেদের পর জ্বলে উঠেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারের জোড়া আঘাতে এলোমেলো জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ।
আজ (রবিবার) ব্রিসবেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে মুখোমুখি বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করেছে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৮ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬ রান।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চলছে তাসকিন আহমেদের ‘ম্যাজিক’। অন্তত প্রথম ওভারের পারফরম্যান্সে সেটি বলাই যায়। নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও যে প্রথম ওভারে উইকেট পেলেন এই পেসার।
উইকেট উদযান করতে মাত্র ৩ বল লেগেছে বাংলাদেশের। তাসকিনের হাত ধরে এসেছে প্রথম সাফল্য। এই পেসারের আগের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন ওয়েসলি মাধেভেরে। পরের বলেই ডিপ থার্ডম্যানে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়েইন ব্যাটার। ফেরার আগে ৩ বলে ১ বাউন্ডারি করেন ৪ রান।
এখানেই শেষ নয়, পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে আবারও উইকেট উদযাপনে মাতেন তাসকিন। এবার তার শিকার আফ্রিকার দলটির অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। বেশ বাইরের বল খোঁচা মেরে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের গ্ল্যাভসে ধরা পড়েন তিনি। ৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ৮ রান করেন আরভিন।
তাসকিনের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আলো ছড়ালেন মোস্তাফিজ। বল হাতে নিয়েই উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার। শুরুটা মিল্টন শুম্বাকে দিয়ে। এই আউটে সাকিব আল হাসানের অবদান কম নয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিয়েছেন চমৎকার এক ক্যাচ। শুম্বা স্টেট ব্যাট খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল উঠে যাওয়ায় মিডঅফে ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন সাকিব। ফেরার আগে শুম্বা ১৫ বলে করেন ৮ রান।
বাংলাদেশের পরের উইকেটের আনন্দটা সবচেয়ে বেশি। আউট হয়েছেন যে সিকান্দার রাজা! সাম্প্রতিক সময়ে জিম্বাবুয়ের সেরা ব্যাটার তো তিনিই। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে তাকে কিছুই করতে দেননি মোস্তাফিজ। বাঁহাতি পেসারের বলে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন আফিফ হোসেনকে। ৩ বল খেললেও রাজা রানের খাতা খুলতে পারেননি।
শান্তর হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ১৫০
সৌম্য সরকার ও লিটন দাস বিদায় নিলেন দ্রুত। তৈরি হলো চাপ। ওই মুহূর্তে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে পথে ফেরালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শুধু তা-ই নয়, হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসও খেলে ফেললেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে দলের অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় স্কোর খুব বড় হয়নি বাংলাদেশের।
আজ (রবিবার) ব্রিসবেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভ ম্যাচে হেসেছে শান্তর ব্যাট। তার ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫০ রান করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের স্কোরের প্রায় অর্ধেকটাই এসেছে শান্তর ব্যাট থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আফিফ হোসেনের। ১৯ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি খেলেছেন তিনি। এছাড়া ২৩ রান সাকিবের। আর ১৪ রান করেছেন লিটন দাস। এছাড়া আর কোনও ব্যাটার যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে।
জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে সফল বোলার রিচার্ড এনগারাভা। এই পেসার ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। ব্লেসিং মুজারাবানি ২ ওভারে ১৩ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট।