বৃহস্পতিবার , ১৭ নভেম্বর ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পরিবার পরিকল্পনা শিখতে বিদেশ ভ্রমণ

প্রতিবেদক
ukadmin
নভেম্বর ১৭, ২০২২ ৪:৪১ পূর্বাহ্ণ

অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বিদেশ ভ্রমণে যেতে তোড়জোড় থেমে নেই সরকারি কর্মকর্তাদের। স্থানীয় সরকার বিভাগের শহর এলাকায় স্বল্প আয়ের মানুষ ও বস্তিবাসী, বিশেষ করে শিশু, নারী ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থার উন্নয়নে একটি প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে চাওয়া হয়েছে ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সংকটের এই সময়ে বিদেশে প্রশিক্ষণের জন্য এত অর্থ ব্যয়কে অযৌক্তিক মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন।

প্রকল্পটির সংশোধিত প্রস্তাবনা থেকে জানা যায়, ১০ সিটি করপোরেশন ও ১৭টি পৌরসভার ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ‘আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস ডেলিভারি’ প্রকল্পে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

প্রকল্পটির মূল ডিপিপিতে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ খাতে রাখা হয়েছিল ১০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। পরে সংশোধিত ডিপিপিতে এ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এরই মধ্যে বৈদেশিক প্রশিক্ষণে প্রকল্পটিতে ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ও করা হয়েছে। বাকি টাকা আগামী দুই বছরের মধ্যে ব্যয় করতে চান কর্মকর্তারা। অথচ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা বৈশ্বিক সংকটের কথা বিবেচনা করে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলেছেন। খুব প্রয়োজন না হলে কোনো ব্যয় করতে নিষেধ করেছেন। তা আমলে নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয় ১০ নভেম্বর এক পরিপত্রে উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশ সফর বন্ধ করেছে।

প্রকল্পটির পরিচালক ও যুগ্ম সচিব এ এফ এম আলাউদ্দিন খান বলেন, প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণের প্রয়োজন থাকতেই পারে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা ব্যয় করা হবে। সরকার অনুমতি না দিলে বিদেশে প্রশিক্ষণে যাওয়া হবে না।

এদিকে প্রকল্পটিতে বিদেশে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দেশে প্রশিক্ষণে মূল ডিপিপিতে ১৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। গত চার বছরে এ খাতের ৫০ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। বাকি অর্থ আগামী দেড় বছরে ব্যয় করতে চান সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্পটির উপস্থাপনা থেকে জানা যায়, মূল ডিপিপিতে ছয়তলা বিশিষ্ট ৮টি নগর মাতৃসদন ও তিনতলা বিশিষ্ট ২০টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংস্থান ছিল। কিন্তু সংশোধিত ডিপিপিতে নগর মাতৃসদনের সংখ্যা ঠিক রাখলেও নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা কমিয়ে ১৭টি করা হয়েছে। সময় বৃদ্ধি করা হচ্ছে এক বছর তিন মাস। মূল প্রকল্পে বাস্তবায়নকাল ছিল ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে কাজের অগ্রগতি হয়েছে খুবই কম। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩৪ দশমিক ৩০ শতাংশ ও বাস্তব অগ্রগতি ৪০ শতাংশ। তাই বাকি কাজ শেষ করতে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য

আপনার জন্য নির্বাচিত