বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘নির্যাতনের’ জবাব আন্দোলনের মাধ্যমে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকারের নির্যাতনের জবাব জনগণ আন্দোলনের ভাষাতেই দেবে।’
গত ৪ নভেম্বর পটুয়াখালী থেকে বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে তেলিখালী এলাকায় ‘সন্ত্রাসী হামলায়’ গুরুতর আহত হন শাহজাহান খান। পরে তাকে ঢাকায় ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সোমবার সকালে শাহজাহান খান ঢাকার ধানমণ্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে সেখানে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে একথা বলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘একজন সাবেক সংসদ সদস্য (পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান খান), তাদের নির্যাতনে আজকে তার জীবন চলে গেল। এই অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে ওঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি, এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শাহজাহান খানের এই যে মৃত্যু এটার আমরা প্রতিশোধ নিতে সক্ষম হব, জনগণ এর উপযুক্ত জবাব দেবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তিনি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে সেদিন আহত করা হয়েছিল। তার কিডনি ফেটে যায়… তার সমস্ত শরীরে বিষাক্ত রক্ত আসে।’
‘শাহজাহান খানের মৃত্যু দক্ষিণাঞ্চলে বিএনপির রাজনীতিতে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি করবে’ মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘আজীবন সংগ্রামী, ত্যাগী রাজনৈতিক এই নেতা জনগণে কাছে একজন অভিভাবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে… গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান শিমুল, আইনজীবী ফোরামের নুরুল ইসলাম জাহিদসহ পটুয়াখালীর নেতারা। পরে হাসপাতালে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।