কোনো দেশের বিরুদ্ধে তৈরি জোটের ব্যাপারে ঢাকাকে সর্তক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ জাহাজের চীন অভিমুখে যাত্রা নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এটা দেখেছি। আশা করছি এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা সাধারণ মানুষ এবং কোনো দেশের সঙ্গে সহযোগিতাকে প্রভাবিত করবে না। ‘একটি পক্ষ’ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, জাতিসংঘ দেয়নি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো দেশের যেকোনো উদ্যোগ উন্মুক্ত ও অন্তভুর্ক্তিমূলক হওয়া দরকার। এটি কোনো দেশের বিরুদ্ধে হওয়া ঠিক নয়। আমাদের যে সাধারণ লক্ষ্য আছে, সেটি অর্জনে এটি সহায়ক, নাকি আমাদের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি করবে- এ বিষয়টি চিন্তা করতে হবে।’
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অভিন্ন উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং বিভাজন বা সংঘাত এড়ানোর জন্য নেওয়া যেকোনো বৈশ্বিক উদ্যোগকে চীন সমর্থন করে। একটি দেশের যে কোনো উদ্যোগ শুধু কোনো একটি নির্দিষ্ট দেশের পক্ষে বা কোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে না হয়ে ‘উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক’ হওয়া উচিত।
আর নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত জাহাজ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পণ্য নিষিদ্ধ জাহাজে পাঠানোর অভিযোগে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া ওই জাহাজটির অবস্থান সম্পর্কেও জানে না বাংলাদেশ। আমরা শুধু জানি, যেহেতু সেটি ছিল একটি নিষিদ্ধ জাহাজ, সেজন্য আমরা সেটিকে আমাদের বন্দরে ভিড়তে দেইনি। এরপর কোথায় গেলো সেটি আমরা জানি না।’
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রুশ জাহাজ উরসা মেজর (স্পার্টা-৩) গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে নোঙর এবং পাবনার রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে কার্গো আনলোড করার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশ পক্ষকে একটি চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানোর পর কর্তৃপক্ষ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করার অনুমতি দেয়নি।
রিয়েল-টাইম জাহাজের তথ্য সরবরাহকারী ভেসেলফাইন্ডার ডটকম-এর তথ্যানুসারে, বর্তমানে জাহাজটি চীনের সাংহাই বন্দরের দিকে যাচ্ছে। ১০ দশমিক ৪ নট গতিতে জাহাজটি যাচ্ছে এবং ৩১ জানুয়ানি সেখানে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।