মোবাইলেআর্থিকসেবাদানকারীবিকাশে প্রতারণার অভিযোগে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। রোববার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- খোরশেদ আলম (২৮), মো. ফয়সাল হাসান ফাহিম (২৪), আনোয়ার পারভেজ ভূঁইয়া (২৫), মো. মমিনুল ইসলাম (২৯) এবং মো. নজরুল ইসলাম (৪০)। এদের মধ্যে খোরশেদ আলম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের এজেন্ট এবং প্রতারক চক্রের মূল হোতা। বাকিরা বিকাশের এজেন্ট ও দোকানদার। গ্রেফতারকৃদের কাছ থেকে ৫৪টি সিম উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিএমপির মিরপুর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতারক চক্রের মূল হোতা খোরশেদ আলমবাংলালিংকের মার্কেট অপারেশন ডিস্ট্রিবিউটরের একজন এজেন্ট। তিনি মূলত বাংলালিংকের সিম নিবন্ধক। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে সিম বিক্রি করেন। এজেন্ট হওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বস্তি এলাকায় গিয়ে কৌশলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন তিনি। সংগৃহীত এসব ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিম ইস্যু করেন।
পরবর্তীতে এসব সিম তিনি বিক্রি করেন বিকাশ এজেন্ট আনোয়ার ও ফয়সালের কাছে। সাধারণত একটি সিম ৬০ টাকা হলেও এসব সিম খোরশেদ বিক্রি করেন ২০০ টাকা করে। ২০০ টাকা দরে কেনা এসব সিম আবার ৩০০ টাকা দরে আনোয়ার ও ফয়সালের কাছ থেকে কিনে নেন বিকাশ দোকানদার মোমিনুল। পরে এসব সিম থেকেই বিকাশ এজেন্ট, কর্মকর্তা সেজে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়।
গত ২ ফেব্রুয়ারি মাহতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি তার বিকাশ নাম্বারে ১২ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করেন। বাসায় ফেরার পর তাকে ফোন করে জানানো হয় ক্যাশ ইন করার সময় ভুল নাম্বারে টাকা চলে যাওয়ায় একটি নাম্বার লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই লক খোলার জন্য ওটিপি মাহতাফের নাম্বারে পাঠানো হয়েছে। মাহতাফ সেই নাম্বার বলার পর দেখেন তার বিকাশ থেকে ৪৭ হাজার ৯৪০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর ওই নাম্বারে ফোন করলে সেই ফোন বন্ধ পান তিনি।
পরে বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন মাহতাফ। সেই অভিযোগের আলোকেই আজ রোববার ভোর সাড়ে ৪টায় খোরশেদ আলমকে ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ওসি মুহম্মাদ মহসিন।