গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে আজ লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
জাফরুল্লাহর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মামুন মোস্তাফী (অব.) এ তথ্য জানিয়েছেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে সোমবার দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জাফরুল্লাহর সবশেষ শারীরিক অবস্থার খবর জানান।
তিনি বলেন, ডা. মামুন মোস্তাফী জানিয়েছেন— আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে লাইফসাপোর্ট দেওয়া হয়। তিনি এখন গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তার শারীরিক উন্নতির জন্য চিকিৎসাসেবা চলছে।
তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য পরিবার দেশবাসীর কাছে ডা. জাফরুল্লাহর জন্য দোয়া কামনা করেছে।
এর আগে সকালে মিন্টু জানিয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চান না। তিনি বলেন, ওনাকে নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। সব দিক থেকে সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে; কিন্তু ওনার পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। গত চার দিনেও শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তিনি চোখ খুলছেন, তবে সেটি স্বাভাবিকভাবে না। অর্ধচেতন বলতে যেমনটা বোঝায়।
উন্নত চিকিৎসার কোনো ভাবনা আছে কিনা– জানতে চাইলে মিন্টু বলেন, স্যারের ইচ্ছার বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করছি না। করোনার সময় ওনার অবস্থা এখানকার চেয়েও বেশি খারাপ ছিল। কিন্তু ওনার ইচ্ছা হলো— গণস্বাস্থ্যের বাইরে কোনো চিকিৎসা নেবেন না। এমনকি দেশের বাইরেও চিকিৎসার জন্য যাবেন না, এটিই ওনার শেষ কথা।
এর আগে রোববার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান জানান, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের জরুরি বৈঠক হয়। মেডিকেল বোর্ডে কিডনি, মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইনটেনসিভিস্ট চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন। গত ৫ এপ্রিল থেকে তিনি গুরুতর অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
তিনি কিডনি ফেইলিউর, লিভারের সমস্যা, হার্টের সমস্যাসহ সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত। শরীরে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ও ব্লাড পেশার কমে যাওয়ার কারণে দুই দিন ধরে বিশেষ কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তাকে।