সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে আগুনের ঘটনায় বিএনপি জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, আন্দোলন জমানোর জন্য বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিতে পারে, কারণ আগুন-সন্ত্রাস তাদের পুরনো অভ্যাস।
রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে মিরপুরের কাফরুলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় কাদের বলেন, আগুন নিয়ে খেললে বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে, সব ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, জ্বালাও-পোড়াও তাদের পুরানো অভ্যাস। আন্দোলন জমানোর জন্য বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিতে পারে। আন্দোলন জমাতে বিএনপি আগুন লাগানোর কৌশল বেছে নিলো কি-না, সেটা এখন বড় প্রশ্ন। এই রহস্য অবশ্যই উদঘাটন করা হবে।
সারাদেশের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশনার বিষয়ে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এখন থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। আগুন নিয়ে খেললে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ইফতার করার আগে রোজা মুখে মির্জা ফখরুল কিভাবে এতো মিথ্যা কথা বলেন? প্যাথলজিক্যাল লায়ার হচ্ছেন ফখরুল ইসলাম। তার মুখ দিয়ে মিথ্যা ছাড়া কিছু শুনবেন না। ইফতারের আগে মিথ্যা কেন বলে রোজা রেখে? বিএনপি হচ্ছে ওই ধরনের ধর্মানুরাগী।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি এখন বৈঠক শুরু করেছে বিদেশিদের সাথে, আমেরিকার সাথে। আমেরিকা আমাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। বৈঠকে পিটার হাস একবারও উদ্বেগের কথা বলেননি। তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ সাধারণের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে আর বিএনপি সামর্থবানদের নিয়ে ইফতার পার্টি খায়। এই হচ্ছে বিএনপির সাথে আওয়ামী লীগের পার্থক্য।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল প্রতিদিন বাকশাল বাকশাল করেন। বাকশালের বিরুদ্ধে কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কেন বাকশালে যোগ দিয়েছিল এর উত্তর দিবেন বাকশালের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল অনেক কিছু জানেন না। গোপন যে হুকুম আসে লন্ডন থেকে- যারা পায় তারা জানে সেই পলাতক দন্ডিত আসামি কী অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। সামনে খারাপ দিন। ওরা জানে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না। সত্যিকারের নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জিততে পারবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মানুষকে ভালোবাসে না। বিএনপি চায় ক্ষমতা। শেখ হাসিনা চায় মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন। বিএনপি চায় তাদের পকেটের উন্নয়ন। দুর্নীতি করে টাকা কামাবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে। বাংলা ভাই তৈরি করবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জীবিত থাকতে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জীবিত থাকতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না।