সুদান থেকে ফেরত আসতে চাওয়া বাংলাদেশিদের সবচেয়ে নিরাপদ উপায়ে প্রত্যাবাসনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করছে ওই দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস। সেখানকার মিশন প্রধান (রাষ্ট্রদূত) তারেক আহমেদ এবং বাংলাদেশি কূটনীতিকরা ইতোমধ্যে আগ্রহী বাংলাদেশিদের তালিকা তৈরি করছেন। তাদের সৌদি আরবের জেদ্দায় পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। জেদ্দায় যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের পোর্ট সুদান বন্দরে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে বাসভাড়া করার বিষয়ে আলোচনা করছেন তারা।
এ বিষয়ে মিশন প্রধান বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই বিদেশিরা পোর্ট সুদানে অবস্থান করছিল জাহাজে করে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা খবর পেয়েছি আজ (বুধবার) ওই বন্দর থেকে প্রথম জাহাজটি ছেড়েছে।’
তিনি বলেন, এই বিদেশিরা গত কয়েকদিন দুরবস্থার অবস্থার মধ্যে ছিল। কারণ সেখানে পর্যাপ্ত হোটেল না থাকায় অনেককে রাস্থায় বা মসজিদে বা অন্যত্র থাকতে হয়েছে।
এসব বিষয় বিবেচনা করে আগ্রহী বাংলাদেশিরা যেদিন জাহাজে উঠবে তার দুদিন আগে পোর্ট সুদানে তাদের পাঠানোর বিষয়টি আমরা বিবেচনা করছি বলে তিনি জানান, ‘আমি এখন চেষ্টা করছি জানার জন্য বাংলাদেশিদের জন্য জাহাজ কবে নাগাদ ছাড়তে পারে।’
তিনি বলেন, আমি আমার একজন অফিসারকে পোর্ট সুদানে পাঠাবো সেখানে বন্ধ স্কুল বা কলেজে বাংলাদেশিদের থাকার ব্যবস্থা করার জন্য। এর ফলে তাদের কষ্ট অনেক লাঘব হবে বলে আশা রাখি।
আগ্রহী সবাই নাও ফিরতে পারে
এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বাংলাদেশি ফেরত আসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মিশন প্রধান বলেন, আমার আশঙ্কা অনেকে নাও ফিরতে পারে এবং এর বাস্তবসম্মত কারণ আছে।
তিনি বলেন, সুদানের নিয়ম হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিত্যাগ না করলে ওই দেশে আর ঢোকা যায় না। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে দেশত্যাগের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ফলে তাদের সুদানে যা আছে সেটির মায়া ত্যাগ করতে হবে। অনেকেই এ বিষয়টি বিবেচনা করবে এবং পরিস্থিতি যদি ভালোর দিকে যাচ্ছে বলে তারা মনে করে, তবে তারা হয়তো যেতে চাইবে না।
উল্লেখ্য ১৫ এপ্রিল থেকে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে সুদানে। ওই দেশে প্রায় দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশি আছে বলে ধারণা করা হয় এবং তাদের বেশিরভাগই থাকেন খার্তুমে। সুদানে যে বাংলাদেশিরা আছেন তাদের মধ্যে অনেকে ব্যবসা করেন এবং অনেকে চাকরিজীবী।