সোমবার , ১ মে ২০২৩ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

শ্রমজীবীরা দুই বেলা দু’মুঠো খেতে পায় না: ফখরুল

প্রতিবেদক
ukadmin
মে ১, ২০২৩ ৯:৫৪ অপরাহ্ণ

শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের দিবসে সরকারবিরোধী আন্দোলন আর তীব্র করার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আজকে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

সোমবার মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

সমাবেশে বিএনপি, শ্রমিকদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বেলা আড়াইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১১টার দিকেই ফকিরাপুল নয়াপল্টন সড়ক পূর্ণ হয়ে যায়।

নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পিকআপ দিয়ে করা হয় ভ্রাম্যমাণ মঞ্চ। চারটা ৪০ মিনিটে সমাবেশ শেষ হলে শুরু হয় শোভাযাত্রা। নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজার গিয়ে শেষ হয় শ্রমিক দিবসের এই শোভাযাত্রা। এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।

শ্রমিক সমাবেশে শ্রমজীবী মানুষের অবস্থা তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে সবচেয়ে কষ্টে আছে আমাদের শ্রমজীবী মানুষ, আজকে সবচেয়ে কষ্টে আছে আমাদের খেটে খাওয়া মানুষ। তারা দুইবেলা দু’মুঠো খেতে পায় না। তাই আমাদের নিজেদের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থে, শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেরকে (সরকার) পরাজিত করতে হবে। আজকে আমাদের শ্রমিক স্লোগান দিয়েছে- ‘মে দিবসের অঙ্গীকার, রুখতে হবে স্বৈরাচার’। কারণ গণতন্ত্র যদি প্রতিষ্ঠা না হয়, স্বৈরাচার দূর করা না যায়- তাহলে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না, তাদের অধিকার আদায় করা যাবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমরা জনগণের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। এর প্রধান দাবি হচ্ছে— এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, আবার সেই পুরনো কাদায় তারা আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। আবার মানুষ যেন ভোট দিতে না পারে, ভোট চুরি করে যেন ক্ষমতা আসতে পারে এবং তারা যেন আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে, সেজন্য এখন থেকে তারা হুমকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখাতে চায়। এই সরকার গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক স্বপ্ন ভেঙেচুরে তছনছ করেছ। ভয়ভীতি দেখিয়ে গণমাধ্যম ও আদালত নিয়ন্ত্রণ করছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, একজন মন্ত্রী বলেছেন, এটা নিয়ে নাকি আমরা রাজনীতি করছি। এতো বড় একজন নেত্রীকে নিয়ে এ ধরনের বক্তব্যের ধিক্কার জানাই। আপনারা তাকে সুচিকিৎসার দিচ্ছেন না, তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেন না।

ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আবার হুমকি দেন অগ্নিসন্ত্রাস করতে দেয়া হবে না। অগ্নিসন্ত্রাস তো করেন আপনারা। নিজেরা অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি ওপর দোষ চাপান। বাসের মধ্যে আগুন দিয়ে মানুষ পুরে বিএনপির ওপর দায় চাপান। রাজধানীর গুলিস্তানে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষকে হত্যা করেছেন।

তিনি বলেন, আইজিপি বলেছেন- নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের গোলযোগ বরদাস্ত করা হবে না। গোলযোগ কোথায় দেখছেন? গোলযোগ তো আপনারা সৃষ্টি করছেন। আজকে খুলনায় শ্রমিক দলের শান্তিপূর্ণ র‌্যালিতে হামলা করে পণ্ড করে দিয়েছেন। সেখান থেকে শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেপ্তার করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে এই লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। লড়াইয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে আগামী দিনে দেশ স্বাধীন থাকবে কিনা দেশের মানুষ মুক্ত থাকবে কি থাকবে না। এ লড়াই আমাদের মুক্তির লড়াই, আমাদের স্বাধীনতার লড়াই, এ লড়াই দেশনেত্রীকে মুক্ত করার লড়াই এ লড়াই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার লড়াই।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আযম খান প্রমুখ।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য