দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আর সেখান থেকে নিম্নচাপটি বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে। আর বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালের মধ্যে এটি পরিণত হবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।
বুধবার ভারতের আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) এক বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএমডির এই বুলেটিনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি গত ছয় ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গেছে এবং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
এটি কিছু সময়ের জন্য উত্তর-পশ্চিম দিকে ও তারপর উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার এবং বুধবার সন্ধ্যার দিকে একই অঞ্চলে ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর এটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে থাকবে এবং ধীরে ধীরে আরও ঘনীভূত হয়ে ১১ মে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
পরে বৃহম্পতিবার মধ্যরাতে নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পূর্ব এবং তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
তারপর ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে পেছন দিকে বাঁক নিয়ে পুনরুত্থিত হতে পারে এবং উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যেতে পারে। পরে আগামী ১৩ মে থেকে ঘূর্ণিঝড়টি কিছুটা দুর্বল হয়ে যাবে এবং ১৪ মে দুপুরের দিকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের কিয়াউকপিউ-এর মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি।
এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০-১২০ কিমি এবং দমকা বাতাসের ক্ষেত্রে সেই গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় (৮.৫° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ (১০ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।