যে যে শট পারে, সেটা খেলতে গিয়ে হয়তো বাস্তবায়িত হয়নি। এমন নয় যে সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছে।’ নাজমুল নিজের মন্তব্যের পক্ষে ব্যাখ্যা দেন, ‘শুধু ডিফেন্স করে সারা দিন পার করা কঠিন। শট খেললে ওদের অ্যাটাকিং ফিল্ড সেটআপ ছড়িয়ে যেত। আমার মনে হয় না, কেউ অতিরিক্ত আগ্রাসী ছিল।’
জাতীয় দল মানে শুধু খেলোয়াড়েরা। কথাটা ঠিক। আবার ভুলও।
জাতীয় দলের সঙ্গে থাকেন টিম ম্যানেজমেন্টও—প্রধান কোচসহ নানা বিভাগের কোচ। ম্যানেজারও দেখা যায় কদাচিৎ। টিম ডিরেক্টর নামেও একটি পদ আছে। খালেদ মাহমুদ এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর।
যদিও ঢাকা টেস্টে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে নেই। জৈব সুরক্ষাবলয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ড্রেসিংরুমে আপাতত থাকতে পারছেন না, বাইরে থেকে দলকে পরামর্শ দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ টেস্টে প্রতিদিন দলের রণকৌশল কেমন হবে, তা খালেদ মাহমুদ থেকে কোচিং স্টাফের সবারই জানা।
যেহেতু ‘টিম মিটিং’ কিংবা ‘গেম প্ল্যান’ বলে একটা বিষয় আছে। খেলোয়াড়দের নিয়ে তা টিম ম্যানেজমেন্টই ঠিক করে থাকে—অন্তত সাধারণ ভাবনায় এটাই তো হয়।
সেটাই যদি হয়, তাহলে আজ ঢাকা টেস্টে চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চিত্র ও দিনের খেলা শেষে দুটি মন্তব্য পাশাপাশি রাখা যায়। ২৬ ওভারে ৭ উইকেটে ৭৬ রানে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। ফলোঅন এড়াতে চাই আরও ২৫ রান।
আজ বাংলাদেশের ব্যাটিং যাঁরা দেখেছেন, সবারই একটি বিষয়ে একমত হওয়ার কথা—ব্যাটিংটা আর যাই হোক, টেস্টসুলভ ছিল না। অস্থির, অধৈর্য—এই শব্দগুলোর পাশাপাশি অযথাই আগ্রাসী হয়ে বিপদ ডেকে আনা, এ কথাও খুব ভালোভাবে খাটে আজকের ব্যাটিংয়ের সঙ্গে।
কিন্তু দিনের খেলা শেষে একই দল থেকে ভেসে এল দুই রকম কথা! সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হোসেন এসে বললেন, ‘সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছি, তা কিন্তু না।
এবার টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদের কথায় আসা যাক, ‘কেন এমন হলো, জানি না। অধৈর্য ব্যাপারটা ছিল, টেস্ট ব্যাটিং বলতে যা বোঝায়, সে রকম ব্যাটিং করিনি আমরা…হয়নি কেন, এত তাড়াহুড়ো কেন, সেটা জানি না, আমরা তো জানি যে আজ সারা দিন ব্যাটিং করার ছিল, কাল টেস্ট শেষ হবে। চারটা-সাড়ে চারটা সেশন হয়তোবা।’