যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নতুন এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে র্যাবের ভূমিকাকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, র্যাবের ভূমিকায় বাংলাদেশে সন্ত্রাস কমেছে। র্যাব ও এর সাবেক ও বর্তমান সাত শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রায় এক সপ্তাহ পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘২০২০ সালে বাংলাদেশে সন্ত্রাস-সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্ত ও গ্রেপ্তার বেড়েছে, কমেছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’
প্রতিবেদনের আরেকটি অংশে বলা হয়েছে, ‘‘২০২০ সালজুড়ে র্যাব এবং ‘কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসিইউ)’ কমিউনিটি পুলিশি কার্যক্রম ও সন্দেহভাজন বিদেশি সন্ত্রাসী যোদ্ধাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উগ্রবাদ মোকাবিলা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করে।’’
ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে তিনটি সুনির্দিষ্ট সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বাংলাদেশে। ওই হামলাগুলোতে কারও মৃত্যু হয়নি। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ সরকার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আইএসের মতো আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অর্থবহ যোগাযোগ থাকার তথ্য নাকচ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলায় সহায়তার দায়ে ২০১৯ সালে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। উচ্চ আদালতে তাদের আপিল আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
সীমান্ত ও প্রবেশ মুখগুলোতে নিয়ন্ত্রণ জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ সহযোগিতা করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রক্রিয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ আছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষিত বিস্ফোরক শনাক্তকারী কে৯ দল ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় প্রস্তুত। কিন্তু বিমানবন্দরে তাদের কোনো স্থায়ী উপস্থিতি নেই।
প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের নিবিড় সহযোগিতার কথা উল্লেখ আছে। তবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিষয়ক কোনো সতর্ক ব্যবস্থা নেই বলে এতে উল্লেখ করা হয়।