চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে আবেদনের ওপর শিগগিরই মতামত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট থেকে বিএনপি সমর্থিত ১৫ জন আইনজীবী এসেছিলেন। তাঁদের বক্তব্যের মধ্যে কোথাও আইনি কোনো সাপোর্ট আছে কি না, সেটা আমরা খতিয়ে দেখেছি। কিন্তু কোনো সাপোর্ট পাইনি। তাঁদের কোনো বক্তব্য আদালত সাপোর্ট করেননি। বরং আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, সেটা সংসদেও বলেছিলাম, অনেক রায়ে সেটারই সাপোর্ট আছে। তবে শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয় থেকে অভিমত দেওয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আইনের মধ্যে থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সরকার কোনো আরবিট্রারি (বিধিবহির্ভূত) পদক্ষেপ নিতে পারে না।’
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্য থেকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, তাতে ভুল ছিল। সেই ভুল তথ্যের ব্যাপারে আমার সঙ্গে যখন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের দেখা হয়, তখন আমি সেটা পরিষ্কার করেছি।’
আনিসুল হক বলেন, ‘হাইকমিশনারকে পরিষ্কারভাবে আমাদের আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি এবং খালেদা জিয়া যে মুক্ত এবং তাঁর আইনি অবস্থানটা তাঁদের বুঝিয়েছি।’
ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে।’