পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবিলার সুযোগ রয়েছে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের চারটি ল-ফার্মের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোপূর্বে তথ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কিছুটা অনীহা থাকলেও বর্তমানে এটা অনেকাংশে কেটে গেছে। আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তার অধীনস্ত দপ্তরের প্রধানদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র যেসব বিষয় বিবেচনায় নিয়েছে, সে ব্যাপারে তথ্য চেয়ে বাংলাদেশের পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা তথ্য দিতে সম্মতিপত্র দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি কিছুটা সময়সাপেক্ষ হবে। তবে যথা সময়ে তথ্যগুলো পেলে এবং সেগুলো সংশ্লিষ্ট দেশ/সংস্থাগুলোর কাছে উপস্থাপন করতে পারলে বাংলাদেশকে এ ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হতো না বলে দাবি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর।
বৈঠকে তিনি আরও বলেন, দেশের অভ্যন্তরে সরকারবিরোধী ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিগুলো ক্রমাগতভাবে প্রচুর অর্থ ব্যয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার মতো দেশের গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অসত্য তথ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। এ ধরনের অপপ্রচার মোকাবিলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে অবস্থিত মিশনগুলো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
‘তবে সরকারের পক্ষে লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি আমেরিকাতে বৈধ হলেও দেশের বাস্তবতায় এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তার পরেও দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে যথাসময়ে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ ও প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া একান্ত অপরিহার্য বলে প্রতিমন্ত্রী এ ব্যাপারে কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।’
ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং সংসদ সদস্য মো. হাবিবে মিল্লাত অংশ নেন।