শুক্রবার , ১৯ আগস্ট ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

‘শান্তির দেশে যারা সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয় তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন’

প্রতিবেদক
ukadmin
আগস্ট ১৯, ২০২২ ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার মিলিত রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের শান্তির দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে কেউ যেন শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাই সবসময় সতর্ক থাকুন।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম নগরীর আন্দরকিল্লা জেএম সেন হলে শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন ও শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মহাশোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রচিত হয়েছিল। একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রচনার জন্য বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দল ও পক্ষ আছে, যারা সাম্প্রদায়িকতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করে। তারা নির্বাচন এলে সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়, আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করে বলে আমরা হিন্দুদের দল। মূলত আমরা সব মানুষের দল, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সব মানুষের দল হচ্ছে আওয়ামী লীগ।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা সময়ে সময়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপচেষ্টা চালায়। সাম্প্রদায়িক উসকানি যখনই যারা দিয়েছে আমাদের সরকার সবসময় কঠোর হাতে দমন করেছে। নির্বাচনের সময় যারা সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয়, সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়, মধুর মধুর কথা বলে, তাদের আপনারা চেনেন। কাজেই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মনে আছে গত বছর দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটানো হয়েছিল, আমি সেদিন অনেকটা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। পরদিন আমি ছুটে গিয়েছিলাম রংপুরে। কারণ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি রংপুর এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলাম। তখন কুমিল্লায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আমাদের প্রতিনিধি দল এসেছিল। আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল।

আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবার মিলিত রক্তে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। এই দেশ আপনাদের, আপনারা কেউ হীনমন্যতায় ভুগবেন না। এদেশের মাটিতে আপনারা জন্মগ্রহণ করেছেন, কেউ আঘাত হানলে প্রতিরোধ করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি, আওয়ামী লীগ আপনাদের পাশে থাকবে। সরকার আপনাদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, শোভাযাত্রা সহকারে জন্মাষ্টমী চট্টগ্রামে যেভাবে উদযাপন হয় বাংলাদেশের আর কোথাও এভাবে হয় না। ছোটবেলা থেকে এই উৎসবে আমিও সামিল হয়েছি। চট্টগ্রাম ছাড়াও এই উৎসব অনেক জায়গায় হয়। কিন্তু এরকম জৌলুসপূর্ণ উৎসব কোথাও হয় না। তাই চট্টগ্রামের এই অনুষ্ঠান অবশ্যই জাতীয় অনুষ্ঠান। জাতীয় অনুষ্ঠান বলেই গতকাল প্রধানমন্ত্রী এখানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়েছিলেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে যখন দুর্গাপূজা হয় তখন কেউ বিমানে কিংবা বাসে এখানে এলে বুঝতে পারে শহরে উৎসব চলছে। ঢাকাসহ অন্য শহরে সেটি বোঝা যায় না। এজন্য চট্টগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে আমি গর্ব করি। কারণ আমরা চট্টগ্রামের মানুষ নিজের কাছে ১০ টাকা থাকলে আরও ১০ টাকা ধার করে খরচ করি। সেজন্য আমাদের উৎসব যেকোনো স্থানের তুলনায় জাঁকজমকপূর্ণ হয়।

জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মাইকেল দে’র সভাপতিত্বে মহাশোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুকুমার চৌধুরী।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য