বিএনপির সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে বেরিয়ে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, ‘একটা বাংলা শব্দ বলতে পারি, চমক আছে।’
রোববার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবারো সংলাপ করছে বিএনপি।রোববার বিকালে কল্যাণ পার্টির সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংলাপ করেছে দলটি।
সংলাপে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। অন্য সদস্যরা হলেন- দলটির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল কবির পিন্টু, আবদুল্লাহ আল হাসান সাকিব, রাশেদ ফেরদৌস সোহেল মোল্যা, মাহবুবুর রহমান শামীম, জামাল হোসেন, আবু হানিফ, আবু ইউসুফ।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে বেরিয়ে ফখরুল সাংবাদিকদের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপের কারণ তুলে ধরেন।
ফখরুল বলেন, প্রথম দফা সংলাপে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছিলাম যে, একটা যুগপৎ আন্দোলনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলব। দ্বিতীয় দফা সংলাপে আমরা কোন কোন দাবিতে বা কোন কোন ইস্যুতে আন্দোলনটা করব সেই বিষয়ে আলোচনা করে ঐকমত্যে এসেছি। দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হবে বলে জানান তিনি।
প্রথম দফায় ২২টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। সেই প্রস্তাবগুলোসহ দলের কর্মপরিকল্পনা যুক্ত করে একটা খসড়া তৈরি করে বিএনপি। আগামী দিনের আন্দোলন ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে করণীয় রয়েছে এ খসড়ায়।
দ্বিতীয় দফা সংলাপে রাজনৈতিক দলের কাছে এ খসড়া তুলে দেওয়া হবে। এরপর তাদের নতুন কোনো প্রস্তাব থাকলে তা যুক্ত করা হতে পারে। সংলাপ শেষে সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি করা হবে চূড়ান্ত রূপরেখা। যা জাতির সামনে তুলে ধরবে দলটি।
সংলাপ শেষে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংলাপে আমরা জানতে চেয়েছি যুগপৎ আন্দোলন কবে? তবে আমরা তারিখটা প্রকাশ না করতে একমত হয়েছি। একটা বাংলা শব্দ বলতে পারি, চমক আছে। আপনারা মেহেরবাণী করে তার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি একজন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। আমি মনে করি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে সংগ্রাম সেটা আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ। সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমসহ আমাদেরকে যারা ভালোবাসেন আমরা সবাই মিলে এই যুদ্ধে লড়ব এবং জয়ী হব। এখানে জয় ব্যতীত অন্য কোনো বিকল্প নাই।’