সংগঠনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আজ শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ করছে যুবলীগ। যুব মহাসমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটি। যুবলীগ আশা করছে, তাদের সমাবেশে ১০ লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত হবেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসবে তাদের সমাবেশে।
এই মহাসমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি লোকের সমাগম হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শীর্ষ নেতারা। অনুষ্ঠান সফল করতে গত এক সপ্তাহ ধরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লেকের পূর্বপ্রান্তে মঞ্চ নির্মাণসহ সার্বিক প্রস্তুতি চলছিল।
যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উপলক্ষে যুব সমাবেশ হলেও এটি মূলত আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির সাম্প্রতিক বিভিন্ন রাজনৈতিক শোডাউনের পাল্টা শোডাউন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আয়োজকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তারা মঞ্চসজ্জাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন। তার উপস্থিতির বিষয়টি মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।
নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার সমাবেশস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিবেশ ছিল ব্যাপক কড়াকড়ি। প্রতিটি প্রবেশপথেই পুলিশি নিরাপত্তা ছিল। আয়োজকদের সম্মতি ছাড়া কাউকেই ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার ও পরে যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ৫০ হাজার কর্মী এই মহাসমাবেশে অংশ নেবেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। তবে সম্রাট সশরীরে সমাবেশে অংশ নেবেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যদিও তার জামিন আদেশে সভা সমাবেশে যোগদানের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।
যুব মহাসমাবেশের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। কেবল যুবলীগের নেতাকর্মী নয়, আশা করছি সর্বস্তরের যুবসমাজ আমাদের এই মহাসমাবেশে অংশ নেবেন।