বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘাত, গ্রেপ্তার ও হতাহতের বিভিন্ন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় হোয়াইট হাউস।
দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি জন কিরবি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেশটির ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ আছে।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে জন কিরবি বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘাতের যেসব খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে আমরা উদ্বিগ্ন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি আমরা খুবই খুবই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করছি।’
এই সমাবেশ ঘিরে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যেসব সংঘাত ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে, সেসবের পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা পরিষদ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের হোয়াইট হাউস প্রতিনিধি জন কিরবি। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে সরকার ও বিরোধীদলের মধ্যে গত কিছু দিন ধরে উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই চলতি সপ্তাহে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের কাছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘাতের সময় একজন নিহত হন, আহত হন আরও ৬০ জনের বেশি। হতাহতরা সবাই বিএনপির কর্মী এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশিতও হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গতমাসে বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকার সমাবেশে ১০ লাখ মানুষের জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি এবং গত মাস থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের বৃহত্তম এই দলটির প্রায় ১ হাজার নেতাকর্মীকে আটক ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিজেদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ভয়েস অব আমেরিকা।
জন কিরবি বলেন, ‘(সমাবেশ ঘিরে) এ পর্যন্ত যত সহিংসতা হয়েছে, তার প্রত্যেকটির পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’
‘সেই সঙ্গে সব বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে— তারা যেন আইনের শাসন মেনে চলে এবং সহিংসতা থেকে দূরে থাকে।’
‘সর্বোপরি আমরা চাই—বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলকে হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে এবং বিরোধীদলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের হুমকি-ধমকি প্রদান, উসকানি বা তাদের প্রতি সহিংসতা রোধ করতে দেশটির সরকার যেন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।’