গোপালগঞ্জে ইউপি নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল পরাজিত প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় ১০ পুলিশ ও আনসারসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডের ফল বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন এবং কোটালীপাড়া পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগণনা শেষে লতিফপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে সাবু মোল্লাকে বিজয়ী ঘোষণ করা হয়। কিন্তু ওই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দিতাকারী অপর ৩ প্রার্থী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বাতিলের দাবি জানান।
এরই মধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা জেলা সদরে ফেরার সময় পরাজিত ৩ প্রার্থী মতিয়ার রহমান ফকির, পলু মোল্লা ও ইব্রাহিম কাজী কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে ওই তিন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সদর থানার ওসি ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর ১০ সদস্যসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।
এ সময় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ওসির গাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।