বৃহস্পতিবার , ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

আবারও বিপাকে বিবিসি, ইডির মামলা দায়ের

প্রতিবেদক
ukadmin
এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ৮:৪২ অপরাহ্ণ

ভারতের দিল্লি ও মুম্বাইয়ে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের (বিবিসি) কার্যালয়ে বিশেষ অভিযান চালানোর কয়েক মাস পর, এবার বিবিসি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে (ফেমা) মামলা দায়ের করেছে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) ও দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ আগে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং এখন পর্যন্ত তারা বিবিসি ইন্ডিয়ার এক পরিচালকসহ মোট ছয় কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

বিবিসি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে বৈদেশিক লেনদেনে নিয়মভঙ্গের অভিযোগ তুলেছে ইডি। বিদেশে বিবিসির পাঠানো অর্থের বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে ইডি সূত্র।

এদিকে বৈদেশিক লেনদেনের বিস্তারিত হিসাব জমা দেওয়ার জন্য বিবিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিবিসি এফডিআই এর বিধি না মেনেই ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ এনেছে। আজ কিছু নথিসহ বিবিসির আরেক কর্মীকে ডেকেছে ইডি এবং এখনও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

উল্লেখ্য, ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (১৯৯৯) একটি নাগরিক আইন এবং ইডি এ সংক্রান্ত তদন্ত পরিচালনা করে। কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি দোষী প্রমাণিত হলে এক্ষেত্রে “বিচার এবং শাস্তি আরোপ” করতে পারে সংস্থাটি।

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লিতে বিবিসি ইন্ডিয়ার অফিসে প্রথমবারের মতো অভিযান পরিচালনা করে ভারতের আয়কর দপ্তর৷

সে সময় সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) ও আইটি বিভাগ জানিয়েছিল যে, বিবিসি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার দেখানো আয় এবং মুনাফা ভারতে তাদের আয়ের সঙ্গে “সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়” এবং অনেক ক্ষেত্রে কর ফাঁকির ঘটনাও ঘটেছে।

একই সময়ে দুই পর্বে প্রকাশিত হয়েছিল বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। ওই তথ্যচিত্রকে ঘিরেই এসব অভিযানের সূত্রপাত, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় ২০০২ সালে রাজ্যে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিয়ে গবেষণাধর্মী তথ্যচিত্রটি তৈরি করে বিবিসি। যেখানে মোদিকে দাঙ্গার জন্য দায়ি করা হয়।

প্রচারে যাওয়ার পরপরই তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি সমস্ত সামাজিক মাধ্যম থেকেও তথ্যচিত্রটি তুলে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। টুইটার, ইউটিউবকেও ওই সংক্রান্ত সমস্ত টুইট এবং ভিডিও মুছে ফেলতে বলা হয়।

এ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায় ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বিরোধীরা বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ফরমান উপেক্ষা করে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে। এমনকি পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরেও তথ্যচিত্রটি দেখান। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা।

বিরোধীদের দীর্ঘ দিনের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে মোদি সরকার সামগ্রিক বিরোধিতাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে।

তারা বলছেন, মোদিকে নিয়ে তথ্যচিত্র ঘিরে তোলপাড়ের মধ্যেই বিবিসির অফিসে আয়কর অভিযান অনেকগুলো প্রশ্ন স্পষ্ট করে দিল।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য