করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত ৩২ জন ধরা পড়েছে ভারতের পাঁচটি রাজ্যে। তবে তাদের লক্ষণ মৃদু বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
মহামারী শুরুর প্রায় দুই বছর পর বিশ্বজুড়ে এখন উদ্বেগ ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকায় উদ্ভূত নতুন ধরন ওমিক্রন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে গত ২ ডিসেম্বর ওমিক্রন সংক্রমিত প্রথম রোগী ধরা পড়ে।
১০ দিনের মধ্যে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩২ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
ওমিক্রন সংক্রমিত সবচেয়ে বেশি রোগী ধরা পড়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যে, ১৭ জন। এরপর বেশি রোগী রয়েছে রাজস্থানে নয়জন। গুজরাট রাজ্যে তিনজন, কর্নাটকে দুজন, দিল্লিতে একজন রোগী ধরা পড়েছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, “এখন অবধি যত রোগী শনাক্ত হয়েছে, সবার রোগলক্ষণ সামান্য।”
মহামারীর এক বছর পেরিয়ে যে ডেল্টা সংক্রমণে ভারতের চিকিৎসা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছিল, ওমিক্রনে সেই ধরনের পরিস্থিতি হওয়ার আশঙ্কা করছে না স্বাস্থ্য দপ্তর।
কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতে এখনও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টেরই প্রাধান্য রয়েছে। তবে ওমিক্রন সংক্রমণের উপর সতর্ক নজর রয়েছে সরকারের। ডিসেম্বরের মাঝামাঝির পর একটা সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চের মহাপরিচালক বলরাম ভার্গব বলছেন, “ওমিক্রন এখনও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ তৈরি করতে পারেনি। তবে সতর্ক থাকতে হবে।”
ভারতে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯৫ হাজার। আর ৫৪ শতাংশ রোগীই কেরালা ও মহারাষ্ট্রে।
প্রায় ১৩৫ কোটি মানুষের দেশ ভারতে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি ব্যক্তি কোভিড-১৯ আক্রান্তে হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছে ১১ হাজারের বেশি।
গত ২৮ দিনে ভারতে আড়াই লক্ষাধিক রোগী ধরা পড়েছে, মারা গেছে ১১ হাজার জন।