জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি) এর প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, অনিয়ম, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা (অতিরিক্ত সচিব), পরিচালক শামিম আল মামুন ও উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের এসব কর্মকাণ্ডের ফলে মাঠ পর্যায়েও হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।
ভোক্তা সাধারণের অধিকার রক্ষায় নয় বছর আগে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে ‘জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর’ (ডিএনসিআরপি)। প্রথম থেকে প্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনাম কুড়ায়। কিন্তু গত তিন বছরে ধীরে ধীরে ভোক্তার আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। ই-কমার্সের সাম্প্রতিক ভয়াবহ সমস্যা নিয়ে অধিদপ্তরকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। শীর্ষ কর্তাদের অনিয়ম ও নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে মাঠ পর্যায়ের বেশিরভাগ কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ হলেও পদোন্নতি আর বদলির ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে কথা বলছেন না।
এই প্রতিবেদকের সঙ্গে অন্তত দশজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কথা হয়। তারা নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে প্রধান কার্যালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য আর নৈতিক স্খলনের অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
শামিম-আতিয়া সিন্ডিকেট
অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অভিযোগ, বর্তমান মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার প্রশ্রয়ে পরিচালক শামীম আল মামুন ও উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা মিলে বিশেষ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে বলেও একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী দাবি করেছেন। শামিমের রুমে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেছেন এমন একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, অধিদপ্তরের সকল নিয়োগ, টেন্ডার ও লেনদেনের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করে এই সিন্ডিকেট। সম্প্রতি হটলাইন টেন্ডার, জনবল নিয়োগের পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয় শামিম-আতিয়াকে। এসব কার্যক্রমের যখন কোনো কমিটি হয় তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অধিদপ্তর থেকে আতিয়ার পছন্দমতো শামিম-আতিয়াকে রাখা হয়। সম্প্রতি চলমান একটি নিয়োগ কমিটির পুরো দায়িত্বও তাদের দুজনকেই দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগ বাণিজ্য
পরিচালক শামীম আল মামুন ও উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে নিয়োগ বাণিজ্যেরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি অধিদপ্তরে ১৩ থেকে ১৬ গ্রেডের বিভিন্ন পদে মোট ১৮ জন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। অধিদপ্তর থেকে শুধু শামীম আল মামুন ও আতিয়া সুলতানাকে দিয়েই এই নিয়োগ কমিটি করেন মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা। সবাই অফিস থেকে চলে যাওয়ার পরও পরীক্ষার খাতা দেখার নামে তারা দুজন একাধিক দিন গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে থাকেন। সার্কুলারে ব্যক্তিগত সহকারীর একটি পদে ২০০ জনের পরীক্ষা নিয়ে মাত্র একজনকে পাস করান তারা। অভিযোগ রয়েছে, ওই প্রার্থীর থেকে মোটা অংকের লেনদেন করেছেন আতিয়া সুলতানা। এজন্য মৌখিক পরীক্ষায় তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না রাখতে কাউকে পাস করানো হয়নি।
এর আগের নিয়োগে ড্রাইভার নিয়োগের ক্ষেত্রে আতিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন ড্রাইভারকে চাকরি দেওয়ার জন্য ধাপে ধাপে মোট ৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা নেন তিনি। ওই লেনদেনের স্বীকারোক্তিমূলক অডিও রেকর্ডও রয়েছে।
টেন্ডারে অনিয়ম
আউটসোর্সিং জনবল টেন্ডারের সময় পরিচালক ছিলেন মঞ্জুর মোর্শেদ এবং একই শাখার দায়িত্বে ছিলেন আতিয়া সুলতানা। যার সঙ্গে আতিয়ার অনৈতিক সম্পর্কসহ অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণের তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। পূর্বে থেকে জনবল সরবরাহ করা একুশে সিকিউরিটিস নামক প্রতিষ্ঠানকে টেন্ডারে উচ্চমাধ্যমিক পাসের শর্ত দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। পরে আসিফ ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। কিন্তু আসিফ ট্রেডার্সও উচ্চমাধ্যমিক পাস জনবল দেয়নি। তারা মূলত একুশে সিকিউরিটিসের কর্মরত জনবলকে কিনে নিয়ে শুধু কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে।
কাজ পাইয়ে দিয়ে আসিফ ট্রেডার্স হতে মোটা অঙ্কের কমিশন গ্রহণ করাসহ আতিয়া সুলতানা মাসিক হারে কমিশন নেন বলে অভিযোগ একাধিক কর্মকর্তার। আউটসোর্সিং জনবলের টেন্ডার আতিয়া সুলতানা কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন এবং এই টেন্ডারের দুর্নীতির দায়ে ফেঁসে যাওয়া থেকে বাঁচতে একুশে সিকিউরিটি থেকে জোরপূর্বক অনাপত্তিপত্র নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, আদালতের নির্দেশে গত বছরের ১৯ মার্চ হটলাইন চালু করে অধিদপ্তর। এর আগে হটলাইন পরিচালনার জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডার অনিয়মের মাধ্যমে সিনোসিস আইটি নামের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া এবং মাসিক ভিত্তিতে ওই প্রতিষ্ঠান হতে কমিশন আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আতিয়া সুলতানার স্বামীর ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলেও একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অফিসের মধ্যে অনৈতিক কার্যকলাপ
অধিদপ্তরের নারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার আপত্তিকর আচরণের প্রমাণ রয়েছে। ডিজির সঙ্গে নারী কর্মকর্তাদের শোয়ার প্রস্তাব ও একাধিক নারী কর্মকর্তাকে নারী-পুরুষের বিশেষ অঙ্গের নাম উল্লেখ করে অশ্লীল কথাবার্তা বলার একাধিক অডিও রেকর্ড এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
ডিএনসিআরপি’র একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে কথা বললে তারাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বাবলু কুমার সাহা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ডিজি পদে দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকদিন পর থেকেই নারী কর্মীদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ অব্যাহত রেখেছেন।
প্রতিবেদকের হাতে থাকা একাধিক অডিওতেও তাদের দাবির সত্যতা পাওয়া গেছে। একটি অডিওতে শোনা যায়, বাবলু কুমার সাহা একজন নারী কর্মকর্তাকে তার বাসায় গিয়ে বিছানায় শোয়ার প্রস্তাব দিচ্ছেন (ওই নারী কর্মকর্তার সুরক্ষার জন্য নাম-পরিচয় গোপন রাখা হলো)।
আরেকটি অডিওতে শোনা যাচ্ছে, বাবলু কুমার সাহা একজন নারী কর্মকর্তাকে বলছেন, এত ঢেকে-ঢুকে লাভ নাই। ওই যে জামা, জামার নিচে ছোট (বুকের দিকে ইঙ্গি করে) কী আছে তা আমি দেখতে পাচ্ছি। তার নিচে কী আছে তাও আমি জানি। আমার জাঙ্গিয়ার নিচে কী আছে তাও তুমি জানো।
খোঁজে নিয়ে জানা যায়, অধিদপ্তরের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে তিনি অফিসিয়াল কাজে ঢাকার বাইরে গেলে সব সময় সঙ্গে নারী কর্মকর্তাদের যেতে বাধ্য করেন। সবশেষ গত সপ্তাহে কক্সবাজার যান। সেখানে তিনজন নারী কর্মকর্তাকে নিয়ে যান। গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখে তিন দিনের সফরে দিনাজপুর যান। সঙ্গে কোনো পুরুষ কর্মকর্তাকে না নিয়েই শুধুমাত্র তিনজন নারী কর্মকর্তাকে নিয়ে যান।
অন্যদিকে পরিচালক শামীম আল মামুন ও উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে বিশেষ সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আতিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে একই সঙ্গে বর্তমান পরিচালক ছাড়াও সাবেক পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদের অনৈতিক সম্পর্কে জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
আতিয়া সুলতানার ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখ থেকে ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আতিয়া সুলতানার মোবাইল ফোনের এসএমএস লেনদেন ও ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখ থেকে ২০২০ সালের ১১ মার্চ পর্যন্ত কল লিস্ট এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
এসএমএস লেনদেনে সাবেক পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে বহু খোলামেলা ও যৌন উত্তেজনাপূর্ণ এসএমএস রয়েছে। বর্তমান পরিচালক শামীম আল মামুনের সাথেও তার বিশেষ সম্পর্কের এসএমএস লেনদেন রয়েছে। কল লিস্টে মঞ্জুর মোর্শেদ ও শামীম আল মামুনের সঙ্গে গভীর রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথোপথনের তথ্য রয়েছে। মঞ্জুর মোর্শেদের মাধ্যমে আতিয়ার অর্থনৈতিক সুবিধার নেওয়ার স্বীকারোক্তি রয়েছে এসএমএসে।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে বেলা ৫টা ৪৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে আতিয়ার মোবাইল নম্বর থেকে মঞ্জুর মোর্শেদের মোবাইলে এসএমএস পাঠানো হয়। পরপর কয়েকটি এসএমএসে বলা হয়, ‘আমার ভালোবাসা তোমার কাছে বাসি জিনিস হয়ে গেলো! আমি ভীষণ অসহায় ফিল করছি। এভাবে আমাকে তুমি থ্রেট করেছো। ছি মঞ্জুর। মঞ্জুর আমি তোমাকে বলতেই আছি, আমি ভালো নেই। সেখানে তুমি আমার ভালোবাসাকে বিদ্রুপ করছো। আমি কী করেছি, আমার লাইফটাকে।’ প্রাপ্ত রেকর্ডে এমন শত শত এসএমএস লেনদেনের তথ্য রয়েছে। আরেকটি এসএমএসে আতিয়া সুলতানা মঞ্জুর মোর্শেদকে লিখেন-তুমিতো ভাবছ টিয়াকে(আতিয়াকে) আমি সবচেয়ে বড় সাপোর্ট দিচ্ছি। সো টিয়ার আর কোন অভিযোগ থাকার কথা না’।
হঠাৎ ধনী আতিয়া সুলতানা
জানা যায়, ভোক্তা অধিকারে চাকরির শুরুর দিকে আতিয়া সুলতানা সাধারণ জীবনযাপন করতেন। নিয়মিত মোটরসাইকেলে স্ত্রীকে অফিসে দিয়ে যেতেন তার স্বামী। কিন্তু অধিদপ্তরে প্রশাসন ও অর্থ শাখায় দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে হঠাৎ করেই সব কিছু বদলে গেছে। তার স্বামী একটি ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানির মার্কেটিং সেলসম্যান ছিলেন। তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকা উদ্যানের পাশে প্রায় ২০০০ স্কয়ার ফিটের ইলেক্ট্রিক পণ্যের শোরুম করেছেন। তার খরচ কয়েক কোটি টাকা। ঢাকা উদ্যানের পাশে ২১০০ স্কয়ার ফিটের বাসা সাজিয়েছেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার দিয়ে। তার বাসায় গিয়েছেন এমন একাধিক কর্মকর্তার মন্তব্য, ‘আতিয়ার বাসার সাজগোজ অনেক মন্ত্রীর বাসাকেও হারা মানাবে।’ ছয় মাস আগে সম্পূর্ণ নগদ অর্থে একটি ব্যক্তিগত এক্সিও গাড়িও কিনেছেন তিনি।
হঠাৎ অভিযান বন্ধ
অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একটি পেট্রোলপাম্পে শুধুমাত্র তেলের পরিমাপে কম দিয়ে দৈনিক ৪০ হাজার টাকা ভোক্তাকে ঠকানো হয়। তেল কম দেওয়া পেট্রোলপাম্পের সংখ্যা গড়ে ৬০ শতাংশ। বেশ কিছু দিন এসব পেট্রোলপাম্পে অভিযান চালাচ্ছিল ভোক্তা অধিদপ্তর। অভিযান পরিচালনার ফলে তেলের পরিমাণে কম দেয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর পেট্রোলপাম্পের মালিকদের সংগঠনের নেতারা মহাপরিচালকের সঙ্গে দেখা করেন। ওই দিন থেকেই সারা দেশে পেট্রোলপাম্পে অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেন মহাপরিচালক। ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ৭ নভেম্বর ৪টা ৫০ মিনিটে সহকারি-পরিচালক ফাহমিনা আক্তারের দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সম্মানিত সহকর্মীবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশক্রমে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল পেট্রোলপাম্পে অভিযান বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।’ বার্তাটিতে ঢাকা বিভাগীয় ২২ জন উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালককে ট্যাগ করা হয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে অবগতির জন্য ট্যাগ করা হয়।
এ বিষয়ে উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি না হয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। অন্যদিকে পরিচালক শামীম আল মামুন সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ‘যা পারেন করেন’ বলে ধমক দেন।
বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব বিষয় কিছুই জানেন না বলে জানান। তবে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।