মাত্র ২৪ ঘন্টার টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় মালয়েশিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়ে গেল পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা দেশটিতে। এ পর্যন্ত ১৪ জন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গত ৩ ধরে বন্যার পানি অধিকাংশ প্রদেশ থেকে সরে গেছে। তবে কিছু অঞ্চলের জলাবদ্ধতা এখনো কমেনি। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় এ সময় পানিবন্দী হয়ে পড়া বন্যাকবলিত প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে জাতীয় দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা টিম।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামার তথ্যে জানা গেছে, ১৭ ডিসেম্বরের বন্যায় দেশটির ১৩টি প্রদেশের মধ্যে ৯টি প্রদেশেই বিপদজনক বন্যায় প্লাবিত হয়েছিল। রাস্তা ঘাট ও স্থাপনা প্লাবিত হয়ে অপূরনীয় ক্ষতি হয়। ভেঙে পড়েছিল যোগাযোগ ব্যাবস্থা ও মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
তবে এখন বেশ কয়েকটি প্রদেশ থেকে বন্যার পানি সরে গেলেও কিছু প্রদেশে এখনো পানি সরেনি তবে সব অঞ্চলেই ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। পাহাং প্রদেশের পানি এখনো না সরায় লোকজন তাদের বাড়ী ঘরে ফিরতে পারছেন না।
অন্যন্যা প্রদেশের মত রাজধানীর গুরত্বপূর্ণ কুয়ালালামপুর ও সেলেঙ্গর প্রদেশে বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন দ্রূত পূর্নবাসন করার জন্য। নইলে মহামারীর কারণে জিডিপিতে যেভাতে ধস নেমেছিল বন্যার ক্ষতির কারনেও এমন ক্ষতি হতে পারে।
সমুদ্র ঘেরা এবং পাহাড় ও বনে ভরা দেশটিতে বড় কোন নদী নেই তাই কোন সময় বন্যা হয় না।
বিভিন্ন রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত বন্ধ হওয়ার ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার পর বন্যা দুর্গতদের জন্য কিছুটা স্বস্তি ও আনন্দ নিয়ে এসেছে আজ বন্যা পরিস্থিতর তাদের তৃতীয় দিনে প্রবেশ করেছে।
এদিকে গরম আবহাওয়া বইছে যা কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি হ্রাস পেতে শুরু করেছে। তবে দুঃখজনক সংবাদ হলো সাম্প্রতিক বন্যায় মৃতদের লাশের হিসাব বাড়তে শুরু করেছে।
রাজধানীর গুরত্বপূর্ন সেলাঙ্গর রাজ্যে আটটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে, পাহাং-এ নিহতের সংখ্যা ছিল ছয়জন এবং বেন্টং বন্যায় আরও চারজন এখনও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।