ইউরোপের দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফ্রান্সে গত মঙ্গলবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮০৭ জন। সেই সাথে ইতালি, গ্রীস, পর্তুগাল, যুক্তরাজ্যেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
বড়দিনের উৎসবের কারণে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের এই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।গবেষণা বলছে, ডেল্টার চেয়ে হালকা উপসর্গ ওমিক্রনের। এছাড়া ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সম্ভাবনা ডেল্টার তুলনায় শতকরা ৩০ থেকে ৭০ ভাগ কম।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে যে, ইউরোপ জুড়ে করোনার সংক্রমণের বৃদ্ধি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেবে। মঙ্গলবার প্রকাশিত ডাব্লিউএইচওর সাপ্তাহিক করোনা আপডেট অনুসারে, ২৬ ডিসেম্বরের আগের সপ্তাহে ইউরোপে নতুন করোনা সংক্রমণের সংখ্যা শতকরা ৫৭ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আমেরিকা অঞ্চল বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ শতাংশ
ফ্রান্সের পরিস্থিতি তুলে ধরে গত সোমবার সতর্কবার্তা দিয়েছিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরান। তিনি বলেছেন, জানুয়ারির শুরুর দিকে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ আড়াই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দেশটির হাসপাতালগুলোর সংগঠন ফ্রান্স হসপিটাল ফেডারেশন বলছে, সবচেয়ে কঠিন সময় এখনো আসেনি।