স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশে গনমাধ্যমে আবারও এক অস্থিরতা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে টেলিভিশন মিডিয়াতে চলছে এক ধরনের অস্থিরতা। এরই মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের টেলিভিশন নিউজ টুয়েন্টিফোরে রাহুল রাহা চ্যানেলটির প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগদানের পর থেকেই শুরুহয় তোলপাড় শুরুহয় চ্যানেলটির ভেতরে।আগের সিইিও নঈম নিজামকে সরিয়ে রাহুল রাহা নিজের ক্ষমতাধর হয় নিউজ টুয়েন্টিফোরে। একে একে সরানো চেস্টা করে তার(রাহুল রাহার) দৃষ্টিতে নঈম নিজামের অনুসারীদের। তার সাথে সায় দিতে থাকে বসুন্ধরার এমবি সায়েম আনভির সোবহান।
তারই ধারাবাহিকতায় জোরপূর্বক চাকুরিচূত্য করাহয় সিনিয়র নিউজ এডিটর আনোয়ার সাদীকে। তার সাথে পদত্যাগ করতে বাধ্য করাহয় নঈম নিজামের অনুসারী গন্য করে সোমা নামের এক কূটনৈতিক রিপোর্টারকে। সবশেষ পদত্যাগ করতে বাধ্য করাহয় আঙ্গুর নাহার মন্টিকে।
এর বিনিময়ে রাহুল রাহা তার কোরামের লোক হিসেবে চিহ্নিত চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের নাহিদ নামের এক সিনিয়র রিপোর্টারকে সম্প্রতি নিউজ টুয়েন্টিফোরে নিয়োগ দেয় । তার আগে বৈশাখীর জিকো নামের এক জুনিয়র রিপোর্টারকে নিয়োগ দেয় নিউজ টুয়েন্টিফোরে। জানাযায় বৈশাখী টিভির জয় যাদব নামের প্রধানমন্ত্রী বীটের একজনকে এবং বৈশাখী টিভির প্রধান বার্ত সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে রাহুল রাহা নিউজ টুয়েন্টিফোরে তার কোরামভারী করার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করে রেখেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিউজ টুয়েন্টিফোরের এক সাংবাদিক জানান তাদের চ্যানেলে প্রত্যেক কর্মীকে নিয়োগ দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া। রাহুল রাহা যোগদানের আগে কে কার লোক সেই বিষয়টি কখনো কারো মাথায় আসেনী।
সবাই প্রতিষ্ঠানটাকে দাড় করানোর জন্য শুরু থেকে চেষ্টা করেছে। যার ফলশ্রুতিতে নিউজ টুয়েন্টিফোর এখন একটি সন্মানজনক অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু রাহুল রাহা যোগ দেবার পর থেকেই চ্যানেলটি একধরনের সংকটে পড়ে। রাহুল রাহা যাদের যাদের পছন্দ করছেনা মালিকের কাছে তাদের নামে নানা ধরনের কুৎসা করে ব্যাকফুটে রাখছে। কাউকে কাউকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে। তথ্য মতে রাহুল রাহা বিশেষ একটি দেশের দুতাবাসের দালাল হিসেবে প্রভাব থাকায় রাহুলের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারেনা বলে অভিযোগ করে কেউ কেউ। তারা জানায় রাহুল রাহার আসল উদ্দেশ্যে কিছুদিন চ্যানেলটির ক্ষমতায় থেকে স্বার্থ হাসিল করা আর চ্যানেলটির পরিবেশ নষ্ট করা।
এই মিডিয়াতে সবাই মালিকের লোক। কিন্তু রাহুল রাহার মত কতিপয় সুবিধাভুগি ধান্দাবাজ বসুন্ধরার এমডিকে নঈম নিজাম কোরামের নামে ছয়নয় বুঝিয়ে চ্যানেলটিতে অস্থিরতা তৈরী করে রেখেছে। দিন শেষে তার আখের গোছানো ছাড়া চ্যানেলের কোনো ক্ষতি ছাড়া উপকার নেই বলে মনে করেন সংবাদ কর্মীরা। ইষ্ট ওয়েস্ট মিডিয়া কতৃপক্ষের উচিত বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখা। বড়দের ক্ষমতা যুদ্ধে ছোটরা ভুক্তভুগি হচ্ছেন বলে জানায় কেউ কেউ।
রিপোর্টার, ক্যামেরাম্যান,নিউজ এডিটরসহ আরো ৩৬জনকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানোর তালিকা করা হয়েছে বলে জানা যায়।