যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের প্রবাসী বাংলাদেশি মোদাসসার খন্দকারকে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে একদিন পেরিয়ে গেলেও, এখনও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি মার্কিন পুলিশ। নিজ বাড়ির বাইরে বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন মোদাসসার। তার মৃত্যুতে নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিরাজ করছে শোক ও আতঙ্ক। এ ধরনের ঘটনা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
নিউ ইয়র্কের গ্লেনমোর অ্যাভিনিউয়ের কাছে ফরবেল স্ট্রিটে স্থানীয় সময় বুধবার রাত ১২টা ৪৫ এর দিকে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। অন্যদিনের মতো এদিনও বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। ঠিক যখন বাড়ির কাছাকাছি চলে আসলেন তখনই মাথায় গুলিবিদ্ধ হন এই প্রবাসী বাংলাদেশি। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
নিউ ইয়র্কের প্রবাসী নজরুল ইসলাম বলেন, আমি শুধু একটি গুলির শব্দ শুনেছি। তার বর্ণনা অনুযায়ী, সিসিটিভির ফুটেজে দুইজনকে দেখা গেছে ঘটনাস্থলে। একজন লম্বা ও মাস্ক পরা ছিলেন। আমার বাড়ির সামনে দিয়ে লোকটি দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
৩৮ বছর বয়সী মোদাসসার খন্দকার জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে কাজ করতেন। তার চার বছরের এক ছেলেও রয়েছে। তার সহকর্মীর সঙ্গে কথা হয় স্থানীয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস২-এর প্রতিবেদক এলিস গেনারের। ওই ব্যক্তি বিমানবন্দরে গত পাঁচ বছর ধরে কাজ করছেন। তিনি বলেন, খন্দকার রাতের শিফটে কাজ করতেন।
‘তিনি আমার বড় ভাইয়ের মতো। তিনি কাজে আসতেন, বাসায় ফিরতেন এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতেন। তিনি ভালো একজন স্বামী, বাবা এবং ভাই। সহকর্মী হিসেবে দুর্দান্ত একজন মানুষ, খুবই সৎ।
এমন হত্যাকাণ্ডে নিউ ইয়র্ক বাংলাদেশ কমিটিতে স্বাভাবিকভাবেই শোক নেমে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রে যেভাবে বন্দুক হামলার ঘটনা বাড়ছে তাতে ভীষণ উদ্বিগ্ন প্রবাসীরা। বন্দুক সহিংসতার ঘটনা কবে বন্ধ হবে তা ভাবাচ্ছে তাদের।
কমিউনিটির প্রবাসী বাংলাদেশি খাইরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্ক এখন খুব ভীতিকর জায়গায় পরিণত হয়েছে। ঘর থেকেই বের হতে ভয় পান অনেকে। অভিভাবকেরা সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত।
পুলিশের ধারণা, খন্দকারে গাড়ি ছিনতাইয়ের টার্গেট ছিল না হামলাকারীর। এ ঘটনায় যারা জড়িত ঘটনাস্থলের ভিডিওগুলো দেখে শনাক্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলার ঘটনা বেড়েছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও এ ধরনের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সূত্র: নিউ ইয়র্ক পোস্ট, সিবিএস নিউ ইয়র্ক।