আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি একদিনে এককোটি প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ওইদিনই দেশে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শেষ হচ্ছে। যাদের জন্মনিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারাও ওইদিন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এ তথ্য জানান কোভিড-১৯ টিকা বিষয়ক বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও অধিদফতরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শেষ হচ্ছে।
বুধবার ডা. শামসুল হক বুলেটিনে বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা পেতে জন্ম নিবন্ধন বা কোনও ধরনের কাগজপত্র লাগবে না। সেখানে মোবাইল নম্বর দিয়েই টিকা নেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই, তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।’
মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তাদের তথ্য নথিভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে। তাদেরকে একটি করে কার্ড দেওয়া হবে। সেটিই হবে তার টিকা নেওয়ার প্রমাণ। আর এসব কিছুর প্রস্তুতি এবং নির্দেশনা ইতোমধ্যেই দেশের সব সিভিলসার্জনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।’
২৬ ফেব্রুয়ারির কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘১ কোটি টিকা দেওয়ার জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন। স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও হতে পারে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে দল থাকবে। সেদিন নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় পাঁচটি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। যেখানে জনসমাগম বেশি সেখানে যেন তারা গিয়ে টিকা দিয়ে আসতে পারে।’
ডা. শামসুল হক জানান, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০টি, বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা এবং ময়মনসিংহে প্রতিটি জোনে ৬০টি করে এবং খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম এবং রংপুরের প্রতিটি জোনে অতিরিক্ত ২৫টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার প্রতিটি দল ৩০০ জনকে এবং সিটি করপোরেশনের প্রতিটি দল ৫০০ জনকে টিকা দেবে।
ডা. শামসুল হক বলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা পেতে কোনও নিবন্ধন লাগবে না। জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র কিছুই লাগবে না। যাদের আছে তারা প্রয়োজনে নিবন্ধন করে আসতে পারেন। পাশাপাশি নিয়মিত টিকা কেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম চলবে। পর্যাপ্ত টিকার মজুত আছে। প্রথম ডোজের টিকাকে একটা ধারায় আনতে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ করা হবে।’