গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশের মালিক জনগণ। সরকার সেই জনগণের সমর্থন ছাড়া টিকে থাকতে চায়। আমাদের সচেতন হতে হবে। দেশের মালিকানা রক্ষা করতে হবে। শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে নাগরিক সমাজ আয়োজিত ‘বর্তমান জাতীয় সংকট এবং সমাধানে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশ এখন সর্বগ্রাসী সংকটে নিমজ্জিত। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে আজ ভগ্নদশা। জনগণের দাবি যখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা, তখন সরকার দেশের জাতির বিবেককে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তড়িঘড়ি করে আইন প্রণয়ন করেছে একটি সার্চ কমিটি গঠনের জন্য, যা নির্বাচন কমিশন গঠনের আইন বলে প্রচার করা জাতির সঙ্গে তামাশা ও এক মহা প্রহসনমাত্র।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, মানুষকে ভোটাধিকারের পাহারাদার হতে হবে। এ জন্য মানুষকে সচেতন করতে হবে, পাড়া মহল্লায় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
সমাজে নারীদের একটি বড় ভুমিকা রয়েছে। নারীদের সংঘটিত করতে হবে। কারণ দেশসেবায় ভালো মানুষকে নির্বাচিত করতে হবে। কোটিপতিরা নির্বাচিত হলে নিজেদের স্বার্থে কাজ করবে। লুটপাট করে নিজেদের পকেট ভারি করবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, সাংবাদিকদের সচেতন থাকতে হবে। কোথায় কী হচ্ছে, তা তুলে ধরতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, নির্বাচন সব সংকটের সমাধান দেবে না। তবে সংকটের মাত্রা কমে আসবে। ইভিএমে ভোট হলে আন্তর্জাতিক মহল দেখবে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হবে ভিন্ন। কারণ আপনি ভোট দেবেন কলম প্রতীকে, ভোট চলে যাবে নৌকায়। এখানে কোনো পেপার ডকুমেন্টস নেই।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, সরকার আগামী নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোকে নিরাপদভাবে মিছিল মিটিং করতে দেবে। কিন্তু তারা আসল খেলা দেখাবে ইভিএমে।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আকবর আলি খান, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ানা চৌধুরী প্রমুখ।