ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার আক্রমণ বন্ধের শর্তের কথা সোমবার তুলে ধরেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার পুতিন জানালেন, কেবল নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়ার বৈধ উদ্বেগ বিবেচনায় নিলেই ইউক্রেন সংকটের সমাধান সম্ভব। আর এক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা ও নিরস্ত্রীকরণ এবং ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের পশ্চিমা স্বীকৃতি গুরুত্বপূর্ণ। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
সোমবার ছিল ইউক্রেনে রুশ হামলার পঞ্চম দিন। ভোর থেকেই হামলা অব্যাহত ছিল। দিনের শেষে দুই পক্ষ বেলারুশে আলোচনায় বসে। তবে আরেকবার বসার সিদ্ধান্ত ছাড়া সংকট অবসানের কোনও অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি। বৈঠকে বসলেও দিনভর হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে রুশ হামলায় ১১ জন নিহতের দাবি করেছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। তাদের দাবি অনুসারে, এখন পর্যন্ত রুশ হামলায় ১৪ শিশুর সাড়ে তিন শতাধিক বেসামরিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, পাঁচ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন।
সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক দীর্ঘ ফোনালাপ হয়েছে পুতিনের। ম্যাক্রোঁর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অবিলম্বে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করতে বলেছেন। ম্যাক্রোঁর অনুরোধ রাখতে তার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছেন পুতিন।
ফোনালাপ নিয়ে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বলেছেন ‘সমঝোতা কেবল সম্ভব যদি নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়ার বৈধ উদ্বেগ বিবেচনায় নেওয়া হয়। ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব পশ্চিমাদের মেনে নিতে হবে, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিমুক্তকরণের সমাধান হতে হবে এবং ইউক্রেন যেন একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র থাকে সেটির নিশ্চয়তা দিতে হবে’।
ক্রেমলিনের বিবৃতি থেকে এটি স্পষ্ট, যেসব যুক্তি ও দাবিতে ইউক্রেনের হামলার নির্দেশ পুতিন দিয়েছিলেন তা থেকে তার একচুল নড়েননি তিনি। পশ্চিমাদের কাছ থেকে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞায় তিনি কোনও চাপ বোধ করার ইঙ্গিতও ক্রেমলিনের বিবৃতিতে পাওয়া যায়নি।
পুতিন ফরাসি প্রেসিডেন্টকে বলেছেন ‘সমঝোতা কেবল সম্ভব যদি নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়ার বৈধ উদ্বেগ বিবেচনায় নেওয়া হয়। ক্রিমিয়ার ওপর রাশিয়ার সার্বভৌমত্ত্ব পশ্চিমাদের মেনে নিতে হবে, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিমুক্তকরণের সমাধান হতে হবে এবং ইউক্রেন যেনও একটি নিরপেক্ষ রাষ্ট্র থাকে সেটির নিশ্চয়তা দিতে হবে’।