ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ’র সানারপাড় থেকে লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা। টানা তিনদিনের ছুটিতে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়া এবং একটি দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি সরিয়ে নিতে দীর্ঘ সময় লাগার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
মহাসড়কে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বন্দরের লাঙ্গলবন্দ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রামগামী লেনে তীব্র যানজট। তবে ঢাকাগামী লেনেও লাঙ্গলবন্দ থেকে মদনপুর পর্যন্ত যানজট চোখে পড়ে। ফলে অনেকে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে বাসায় ফিরে যাচ্ছেন। অনেক যাত্রীকে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া যানজটের সুযোগে বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিমরাইল থেকে কুমিল্লার ২০০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা নিচ্ছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। শিমরাইল থেকে চট্টগ্রামের ভাড়া নন এসি গাড়িতে ৪৫০ টাকার পরিবর্তে ৫৫০ টাকা এবং এসি গাড়িতে ৮০০ টাকার পরিবর্তে ভাড়া এক হাজার টাকা করে নিচ্ছেন।
বাস কাউন্টার কর্তৃপক্ষ বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তীব্র যানজটের কারণে গাড়ি সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। ফলে বেশি ভাড়া নিতে বাধ্য হচ্ছে।
সৈকত নামের এক যাত্রী জানান, ঢাকা উদ্দেশে টিপুদীর থেকে তিনি সকাল ৮ টায় রওনা হয়েছেন। এক ঘণ্টায় তিনি মাত্র মদনপুর পর্যন্ত আসতে পেরেছেন।
জাকির হোসেন নামের এক প্রাইভেটকার চালক জানান, যানজটে তিনি সকাল থেকে বসে আছেন। ১৫ মিনিটের পথ দেড় ঘণ্টায়ও পার হতে পারেননি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সাজ্জাদ করিম খান জানান, বুধবার মধ্য রাতে মদনপুরে একটি সড়ক দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি সরিয়ে নিতে সময় লেগেছে। ফলে এক ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়া টানা তিনদিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে গাড়ির বাড়তি চাপ রয়েছে। তবে আশা করছি, দুপুরের আগেই যানজট কমে আসবে। যানজট নিরসনে পুলিশের টিম কাজ করছে।