আজ দলীয় কার্যালয়ের সামনে দেওয়া বক্তব্যে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অজানা কারও ইশারায় জেলা আওয়ামী লীগকে দ্বিখণ্ডিত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগ তা হতে দেয়নি। জেলা আওয়ামী লীগ একই রয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চাইলে আগামী ২৩ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সভাপতি প্রার্থী হবেন।
কাদের ভাইকে বলব, এখনো লাগাম টেনে ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের, জেলা আওয়ামী লীগকে বাঁচান। কারণ, সবার আঙুল কিন্তু আপনার দিকে। এখন আর গত এক বছর আগের একরাম নেই, তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। এবার মরতে হলে নেতা-কর্মীদের জন্য মরব।
সাংসদ একরামুলকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘কাদের ভাইকে বলব, এখনো লাগাম টেনে ধরেন জেলা আওয়ামী লীগের, জেলা আওয়ামী লীগকে বাঁচান। কারণ, সবার আঙুল কিন্তু আপনার দিকে। আমি আপনাকে বলি, কাদের ভাই, বাবার পরে আপনাকে স্থান দিয়েছি, এখনো ধরে রাখার চেষ্টা করেন। এখন আর গত এক বছর আগের একরাম নেই, তিনি ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। এবার মরতে হলে নেতা-কর্মীদের জন্য মরব।’
লাইভে এসে সাংসদ একরাম বললেন, ‘নোয়াখালীর সবচেয়ে ঘৃণিত লোক ওবায়দুল কাদের’
সাংসদের পৃথক কর্মসূচি পালনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন ওরফে শাহিন আজ দুপুরে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সাংসদের পৃথক কর্মসূচি পালন তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। তাঁর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো দলীয় সম্পর্ক নেই। তিনি শুনেছেন, পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে নিয়ে সাংসদ মিটিং করেছেন। যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। এক প্রশ্নের জবাবে শিহাব উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কর্মসূচিতে আলাদা করে কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। যাঁরা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন, তাঁরা চাইলেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেন।
সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী টানা ১৭ বছর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনেও তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ওই কমিটি অনুমোদনের আগেই গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সম্মেলনে ঘোষিত কমিটি ভেঙে দিয়ে কেন্দ্র থেকে ৮৭ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে আহ্বায়ক করা হয় ভেঙে দেওয়া কমিটির সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে। আর দুই যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় শিহাব উদ্দিন ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মো. সহিদ উল্যাহ খানকে।