গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের একটি কক্ষে হামলা-ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত। পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন খলিফা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানের পক্ষের কর্মীরা রড-স্টাম্প নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেন। দিবাগত রাত দুইটা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে এ উত্তেজনা চলে। খবর পেয়ে প্রাধ্যক্ষ মো. মুহাম্মদ আবদুর রশীদ হলে আসেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিনি রাত তিনটা পর্যন্ত হলে ছিলেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জসীমউদ্দীন হলের কয়েক ছাত্র বলেন, লুৎফর রহমানের অনুসারীদের একটি অংশ গতকাল রাতে সুমন খলিফার পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা হলের ২১৪ নম্বর কক্ষ দখল করতে যান। এ সময় কক্ষটির জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সংস্কৃত বিভাগের মো. মোহিত, উর্দু বিভাগের মো. রাসেল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আশিকুর রহমান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইসমাইল হোসেন নেতৃত্ব দেন।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সুমন খলিফার অনুসারীরা রড ও স্টাম্প নিয়ে বের হন। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. সোহান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শাহরিয়ার সাগর এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের হেদায়েতুল ইসলাম।
লুৎফর রহমানের অনুসারীরাও এ সময় রড-স্টাম্প নিয়ে বের হন। দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের এমন মুখোমুখি অবস্থান ও মহড়ায় হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার বিষয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন খলিফা বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। তাঁর আশা, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।
সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, তাঁদের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে নিজেরা বসে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছেন।
গতকাল রাতের এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান জসীমউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আবদুর রশীদ।
মুহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, হলের আবাসিক শিক্ষক রেজাউল করিমকে প্রধান করে গঠিত এই তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।