ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ হিসেবে উপমহাদেশের নারীদের সাজের অন্যতম একটি আলংকারিক “টিপ”। কপালের মাঝখানে রঙের একটু ছোঁয়া সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের কাছেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর সেই টিপ পরার কারণে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের এক শিক্ষিকাকে পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক ব্যক্তি হেনস্তা ও হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার শনিবার (২ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগর থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম জানাতে পারেননি, তবে তিনি মোটরসাইকেলের লাইসেন্স প্লেটের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়েছেন, যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঘটনার পর থেকে তিনি অনিরাপদ বোধ করছেন উল্লেখ করে লতা তার অভিযোগে বলেন, “আমি তার গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে, আমাকে হত্যার হুমকি দেয় সে।”
সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শনিবার সকালে ফার্মগেটে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশে হেঁটে যাচ্ছিলেন লতা। হঠাৎ করেই পেছেন থেকে কেউ একজন “টিপ পরছোস কেন” বলে উঠলে থেমে যান তিনি। তাকিয়ে দেখেন পুলিশের পোশাক পরা মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা এক লোক একটি মোটরসাইকেলের ওপর বসে তাকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলছে।
লতা জানান, এ কথা বলার পরই লোকটা গালিগালাজ শুরু করেন যা মুখে আনাও সম্ভব নয়।
তিনি আরও জানান, তিনি প্রতিবাদ করলে লোকটা তার পায়ের ওপর দিয়েই মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যায়। তিনি দ্রুত সরে গিয়ে নিজেকে বাঁচালেও রাস্তায় পড়ে গিয়ে আহত হন।