যে দোকান মালিকের কারণে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, তার রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘যে দুটি দোকানের মধ্যে গোলমাল সেখানে কেন ঢাকা কলেজকে জড়িয়ে ফেলা হলো? সেই মালিকের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। কাজেই সব কিছু দেখা দরকার আছে। আমি আশা করছি, এটির সুষ্ঠু তদন্ত হবে, যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে স্কয়ার হাসপাতালে গুরুতর আহত মোশাররফ হোসেনের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
এর আগে হাসপাতালে ছাত্রদের পক্ষে খন্দকার রাজিব, আল সানি, সৌরভ, ফজলে রাব্বি, নিশান, ফয়সাল মাহমুদ শিক্ষামন্ত্রীকে অভিযোগ করে বলেন, ‘দোকান মালিক থানা যুবদলের আহ্বায়ক। তিনি ব্যবসায়ীদের পক্ষে এই সংর্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন। একই সঙ্গে এই দোকানদার নিউমার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি’।
এসময় ছাত্রদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত হলে সব বের হয়ে আসবে। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তোমরা বাড়ি গিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করো। যারা আহত হয়েছে তাদের উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব আমাদের’।
মোশাররফফের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়ে ফেরার সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই ঘটনা এই পর্যন্ত গড়ানোর কথা ছিল না। অনেক রকম কথা বলা হয়, যখনই কোনও ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকে তখন খুব সহজেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দোষারোপ করা হয়। যা দেখলাম দুটো দোকানের মধ্যে নিজেদের বাক বিতণ্ডায় কিছু ছাত্রকে জড়ানো হয়েছে। বাইরের কিছু লোক সেখানে জড়িয়েছে। ছাত্ররা আহত হয়েছেন। যদি সকাল থেকেই যদি দুটি পক্ষকে দূরে রাখা যেতো তাহলে আরও আহত হয়েছেন, শুনলাম একজন প্রাণ হারিয়েছেন সেই ঘটনা আমরা এড়াতে পারতাম। এটি খুবই দুঃখজনক। এখন যেহেতু পরিস্থিতি শান্ত আর কাল থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি। এছাড়া ঈদের সময় যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে তাদের ক্ষতি, যেসব শ্রমিকরা কাজ করে তাদের ক্ষতি। তাই শান্তি সবার জন্য দরকার’।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, কিছু পক্ষ আছে যাদের অস্থিতিশীলতা, অশান্তি-অরাজকতা দরকার। তারা যে কোনও ঘটনা ঘটলেই বড় করে তোলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমি অবশ্যই মনে করি, এখানেও সে ধরনের ইন্ধন আছে। সেগুলো খুঁজে বের করা দরকার। ভালো করে তদন্ত হওয়া দরকার, কার স্বার্থে এত বড় ঘটনা সৃষ্টি হলো। আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করেছি। সেখানে যে দুটি দোকানের মধ্যে গোলমাল, সেখানে কেন ঢাকা কলেজকে জড়িয়ে ফেলা হলো। সেই মালিকদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। কাজেই সব কিছু দেখা দরকার আছে। আমি আশা করছি এটির সুষ্ঠু তদন্ত হবে, যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা আহত তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য যে ব্যবস্থা কী করা যায় সেটি আমরা দেখবো।