শনিবার , ২৩ এপ্রিল ২০২২ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
TableTalkUK
  1. ক্রাইম সিন
  2. খেলাধুলা
  3. জেলার খবর
  4. তথ্য-প্রযুক্তি
  5. প্রবাসের কথা
  6. বাংলাদেশ
  7. ব্যাবসা-বাণিজ্য
  8. ভিডিও সংলাপ
  9. মিডিয়া
  10. শিক্ষাঙ্গন
  11. সকল সংবাদ

অভিযুক্তদের মধ্যে প্রথমে রাজনীতিবিদ, দ্বিতীয় সাংবাদিক

প্রতিবেদক
ukadmin
এপ্রিল ২৩, ২০২২ ২:৫৬ অপরাহ্ণ

গত দুই (২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি) বছরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২৪৪ জন। এতে ৮৯০টি মামলায় আটক হয়েছেন ৮৪২ জন। অভিযুক্তদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন রাজনীতিবিদ (২৫৪ জন)। পরের স্থানে আছেন সাংবাদিক (২০৭ জন)। এ ছাড়া ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ১৪৭ জনকে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। যা এর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত প্রতি মাসে ছিল প্রায় ৬১ জন।

ওয়েবিনারে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষণা কার্যক্রমের মুখ্য গবেষক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ডিস্টিংগুইসড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ৪২৬টি মামলায় প্রায় ৯১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ২৭৩ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।  অন্যদিকে পরবর্তী ১১ মাসে ৪৬৪ টি মামলায় ১ হাজার ৩৩১ জনকে অভিযুক্ত করা হয় এবং আটক করা হয় ৬০৯ জনকে। প্রতি মাসে গড়ে ৬৭ জনকে আটক করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৬ মাসে এই আইনের অধীনে দায়ের করা ৮৯০টি মামলায় প্রতি মাসে গড়ে ৮৬ জনের বেশি মানুষসহ ২ হাজার ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে বলা হয়, আসামিদের মধ্যে প্রতি মাসে গড়ে ৩২ জন করে ৮৪২ জনকে আটক করা হয়েছে।

ওয়েবিনারে বক্তারা বলেন, আইনটি ক্ষমতাসীনদের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সরকারের মধ্যে ক্ষমতা হারানোর যে শঙ্কা কাজ করে, সেই শঙ্কা থেকেই সরকার নিজেদের সুরক্ষার জন্য আইনটি প্রণয়ন করেছে।  এই আইনে সাংবাদিকদের সুরক্ষা প্রদানের কথা বলা হলেও সাংবাদিকদের দমনের জন্যই করা হয়েছে। বক্তারা আরও বলেন, এই আইনের ফলে মুক্ত ভাবের আদান-প্রদানের জায়গা সংকুচিত হয়েছে। এজন্য মুক্ত গণতন্ত্রের চর্চা এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করা প্রয়োজন।

সিজিএস’র চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আমাদের সাইবার স্পেসের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বিগত ৯ মাসের সংখ্যা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এটি বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, এই মামলাগুলোর মধ্যে ৮১ শতাংশ মামলাই সরকারদলীয় ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।

সিজিএস’র নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের সীমাবদ্ধতাগুলোকে দূর করে একটি ‘ভালো’ আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে। এই আইনে সাংবাদিকদের সুরক্ষা প্রদানের কথা বলা হলেও সাংবাদিকদের দমনের জন্যই এই আইন করা হয়েছে।

সর্বশেষ - ব্যাবসা-বাণিজ্য