এ ঘটনার সমালোচনা করে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন অনেকে। তাঁদের ভাষ্য, এভাবে একজন নাগরিককে বেতের বাড়ি দিয়ে শাসানোর কোনো অধিকার জনপ্রতিনিধির নেই।
ওই ভ্যানগাড়ি ছিল একটি সিগারেট কোম্পানির। ওই কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ধ্রুব ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের চালকেরই ভুল ছিল। ভুল সময়ে ভুলভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমরা মালামাল সরবরাহ করছিলাম। তাই মেয়র মহোদয় আমাদের চালককে বেতের হালকা বাড়ি দিয়ে শাসিয়েছেন। যেহেতু ভুল আমাদেরই, তাই এ নিয়ে কোনো অভিযোগও নেই।’
শনিবার বেলা সাড়ে চারটার দিকে যোগাযোগ করা হলে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ঈদের আগে নগরে যানজট যেন না হয়, সে জন্য কয়েক দিন আগেও পরিবহনশ্রমিকদের নিয়ে সিটি করপোরেশন সভা করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, সকাল ১০টার আগে ভ্যান–জাতীয় যানগুলোকে মালামাল ওঠানো–নামানোর কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু আজ বেলা দেড়টার দিকে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি দেখেন, ওই চালক দুটি ভ্যানগাড়ি দিয়ে মালামাল ওঠানো–নামানো করছেন। এতে সড়কে যানজট দেখা দিয়েছে।
বেতের বাড়ি দেওয়ার কথা সত্য নয় দাবি করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি ওই চালককে বেতের বাড়ি দিইনি। বেত উঁচিয়ে একটু শাসিয়েছি মাত্র। ভবিষ্যতে যেন এভাবে যান দাঁড় করিয়ে তিনি যানজট সৃষ্টি না করেন, পরে সেটি তাঁকে বুঝিয়ে বলেছি। অথচ বিষয়টি ভুল ব্যাখ্যা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ ছবিটি ছড়িয়ে অযথাই আমাকে বিতর্কিত করছেন।’
এ ঘটনার সমালোচনা করে সিলেটের অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। তাঁদের ভাষ্য, ওই ভ্যানচালকের দোষ হয়ে থাকলে মেয়র তাঁকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে পারতেন কিংবা আইনি অন্য কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারতেন। এভাবে একজন নাগরিককে বেতের বাড়ি দিয়ে শাসানোর কোনো অধিকার জনপ্রতিনিধির নেই। বিষয়টি মোটেও শোভনীয় নয়।