ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ইলমা চৌধুরী মেঘলার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার আসামিদের দ্বারা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ প্রভাবিত হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইলমার মা দাবি করেন তদন্ত প্রতিবেদন পক্ষপাতমূলক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৯ এপ্রিল বিচারক নজিরবিহীনভাবে প্রধান আসামি ইলমার স্বামী ইফতেখার আবেদিনকে জামিন দেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত ফরেনসিক রিপোর্টে কারচুপি করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মামলার অপর দুই আসামি ইলমার শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক।
২৫ বছর বয়সী ইলমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্রী ছিলেন। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় তার।
মৃত্যুর আগে ইলমার স্বামী তার চাচা ইকবাল হোসেনকে ফোন করে জানান ইলমা অসুস্থ, মঙ্গলবার তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ইলমার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
ইলমার পরিবারের সদস্যরা তার শরীরে শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন দেখে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। পরে তার বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তার স্বামী ইফতেখার ও তার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করেন।