বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মেয়ে জামাই মোজাম্মেল হোসাইন এবং বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছোট ছেলে সাফওয়ান সোবহান তাসভির যুক্তরাজ্য থেকে একই ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরেছেন বিমানে বসে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাত নয় টায় ফ্লাইট অবতরনের পর সাফওয়ান সোবাহান তাসভীর ভিআইপি জোনে যাবার পিছন থেকে এসে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের মেয়ে-জামাই মোজাম্মেল হুসাইনের চুলের মুঠি ধরে ঝোরে টান মারেন। এরপর আরেকটি ক্যামেরায় দেখা গেছে উত্তেজিত তাসভীর সাদা শার্ট পরা একজনকে মারতে আসছেন আর অন্যরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
একপর্যায়ে তিনি সাদা শার্ট পরিহিত ব্যাক্তিকে তার হাতে থাকা শক্ত কিছু একটা দিয়ে সজোড়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে ওই ব্যক্তির মাথা ফেটে যায়। বাম চোখের ওপরে দুটি সেলাই লেগেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
পরে জানা যায়, সাদা শার্ট পরা ব্যক্তির নাম রেজাউর রহমান মির্জা, তিনি বিমান বাহিনীর সাবেক সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার। বর্তমানে নাসা গ্রুপের প্রোটোকল অফিসার হিসেবে কাজ করছেন । তিনি জানিয়েছেন বিমানবন্দরের ভিতরে প্রবেশ করার পরে তিনি মোজাম্মেল হক এবং তাসভীর কে তর্কাতর্কি করতে দেখেন তখন দু’জনকেই শান্ত করার চেষ্টা করেন পরবর্তীতে তিনি বসুন্ধরার মালিকের ছোট ছেলেকে বিষয়টি এখানেই ভুলে যাবার অনুরোধ জানান।
বিমানবন্দরের বাইরে এসে গাড়িতে ওঠার আগ মুহূর্তে আবারও উত্তেজিত হয়ে পড়েন তাসভীর। এসময় তিনি সবাইকে গালাগালি করতে থাকেন, তাসভীরকে নিতে আসা তার মা ছেলেকে শান্ত হয়ে গাড়িতে উঠতে বলেন কিন্তু তাসভীর তার কথাও শোনেননি। হঠাৎ করেই হাতে থাকা শক্ত কিছু দিয়ে মাথায় সজোড়ে আঘাত করেন। রেজাউর জানান পরে কুর্মিটোলা হাসপাতালে গিয়ে তিনি বাম চোখের ওপরের দিকে দুটি সেলাই করেন। এ বিষয়ে রেজাউর করিম থানায় গেলেও শেষ খবর পাওয়ার পর্যন্ত মামলা বা জিডি করেননি।