বরগুনায় ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জেলা ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সহ পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা সমকালকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বরগুনা সদর থানার এএসআই সাগর, পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল রাফিউল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল কেএম সানি এই তিনজনকে প্রত্যাহার করে ভোলা জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ডিবি পুলিশের এএসআই ইসমাইল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল রুহুল আমিনকে প্রত্যাহার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি বরগুনা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে মঙ্গলবার দুুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রত্যাহার করে প্রথমে বরিশাল রেঞ্জে এবং পরে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্তদের সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভেঙে যাওয়া গ্লাসের ক্ষতিপূরণ ও অপরাধীর বিচারের কথা জানান। তবে তার উপস্থিতিতেই পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।