সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ তিন দাবি আদায়ে আগামী রোববার গণভবনের সামনে অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে ওইদিন বিকালে তিনি প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়াবেন। এরপর তিন দফা দাবি সংবলিত আবেদন (স্মারকলিপি) প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেবে
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সন্তান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্ম কিছুই জানে না। সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি জরিপ রিপোর্টের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, এতে দেখা গেছে জাতীয় নেতা কারা, তা ছাত্রছাত্রীরা বলতে পারে না। শহিদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের পার্থক্য তারা বোঝে না।
স্বাধীনতাবিরোধী কারা, তাও বলতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের এই ধারণা খুবই হতাশাজনক। তাই বিষয়টিকে এখনই গুরুত্ব না দিলে সামনের দিনগুলোতে জাতির জন্য চরম সংকট অপেক্ষা করছে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সোহেল তাজের তিন দাবির মধ্যে রয়েছে-১০ এপ্রিল সরকারিভাবে রিপাবলিক ডে পালন, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সামরিক-বেসামরিক সংগঠক ও যোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে তাদের ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি এবং ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন।
গাজীপুরের কাপাসিয়ার সাবেক সরকার দলীয় সংসদ-সদস্য তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ ১০ এপ্রিল এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে ২০০২ সালের মার্চে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন ও মামলা-হামলার বিরুদ্ধে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন করেছিলেন তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সংসদ-সদস্য সোহেল তাজ। ওইদিন পুলিশ আক্রমণ চালিয়ে তাকে আহত করে।
আহতাবস্থায় তিনি পিজি হাসপাতালে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল) ভর্তি হন। সে সময় সোহেল তাজের ওই কর্মসূচি রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল।
রোববার বিকালে জাতীয় সংসদের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে গণভবন পর্যন্ত হেঁটে যাবেন সোহেল তাজ। এই প্ল্যাকার্ডে লেখা থাকবে তার তিন দাবি। গণভবনের সামনে পৌঁছে তিনি অবস্থান গ্রহণ করবেন। পরে কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি স্মারকলিপি জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন।