প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুক্তরাজ্য (ইউকে) শাখা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে লন্ডনে তার সফরকালীন আবাসস্থলে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশিকুন নবী চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের ক্লারিজ হোটেলে পৌঁছলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন খান, সিনিয়র সহসভাপতি জালাল উদ্দিন, সহসভাপতি অধ্যাপক আবুল হাশেম, সহসভাপতি হরমুজ আলী, যুগ্ম-সম্পাদক নঈম উদ্দিন সিরাজ, মারুফ আহমেদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সময় বিকাল ৫টায় লন্ডনে পৌঁছান শেখ হাসিনা। লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।
সদ্য প্রয়াত ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে লন্ডন ও নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা ১৯ দিনের সফর শেষে আগামী ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, জাতিসংঘ ও কমনওয়েলথ বিষয়কমন্ত্রী লর্ড আহমদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের বিরোধীদলীয় এবং লেবার পার্টির নেতা স্যার কেইর স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ১৮ সেপ্টেম্বর বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে রাজার এক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে অংশ নেবেন। একই দিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
ওই দিন জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত।
২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন। পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। ইউএনএইচসিআরের ফিলিপো গ্রান্ডি এবং স্লোলোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সংবর্ধনায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ, বতসোয়ানা ও স্লোভাক প্রজাতন্ত্র এবং জাতিসংঘ আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের টেকসই আবাসন শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
সূত্র: বাসস