বিশ্ব নেতাদের ঢল নেমেছে ব্রিটেনে। একদিন পরেই (সোমবার) রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য।
অনুষ্ঠানটিকে যোগ দিতে এর মধ্যেই ব্রিটেনের রাজধানী লন্ডনে আসতে শুরু করেছেন রাষ্ট্রনায়করা। বিশ্বের নানাপ্রান্তের বিভিন্ন দেশের বর্তমান এবং সাবেক রাজপরিবারসহ, রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে লন্ডন।
ইতোমধ্যে লন্ডনে পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পৌঁছেছেন শুক্রবার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেনও লন্ডনে অবস্থান করছেন। বিবিসি। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রিত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি। অনুষ্ঠানটির ভেন্যু জন্য ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অতিথির সংখ্যা ধরা হয়েছে দুই হাজার ২০০।
শেষকৃত্যে আমন্ত্রিত হয়েছেন ইউরোপের সব রাজপরিবার। বিভিন্নভাবে রানির আত্মীয়ও তারা। প্রিয় ‘আন্ট লিলিবেত’কে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানানোর জন্য যোগ দেবেন তারা।
এদের মধ্যে আছেন বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও রানি ম্যাথিলডে। নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম অ্যালেক্সান্ডার ও তার স্ত্রী রানি ম্যাক্সিমা এবং রাজার মা, সাবেক রানি প্রিন্সেস বিয়াট্রিক্স।
আসছেন স্পেনের রাজা ফেলিপ ও রানি লেটিজিয়া। এ ছাড়াও আসবেন নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন ও মোনাকো, জর্ডান, সার্বিয়া, রোমানিয়া, লুক্সেমবার্গ, টঙ্গা, বুলগেরিয়ার রাজা-রানিরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সস্ত্রীক এসেছেন শেষকৃত্যে যোগ দিতে। নিজের বিলাসবহুল লিমুজিন ‘দ্য বিস্ট’ ব্যবহারের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে তাকে। ব্রিটিশ সরকার জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যতীত অন্য কোনো অতিথিকে ‘ভিভিআইপি’ সেবা দেওয়া হবে না। বিশ্ব নেতাদের মধ্যে আরও আসছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাকেও। তালিকায় আছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। আসছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান উরসলা ভন ডার লিয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মাইকেল।
ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লা, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংক-ওয়ালটার স্টেইনমিয়ার, ইসরাইলের আইজ্যাক হারজোগ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ইউন সক ইয়লও যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। আসছেন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রধানরাও।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। আসছেন সাবেক ব্রিটিশ কলোনি এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রধানরা।
এদের মধ্যে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা, লংকান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ফিজিয়ান প্রধানমন্ত্রী ফ্যাংক বাইনিমারামা, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গার্ডিয়ান।
অপর দিকে, আমন্ত্রণ দেওয়া হয়নি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। অবশ্য শেষকৃত্যে অংশ না নেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিলেন তিনি। আমন্ত্রণ না পাওয়ার তালিকায় আরও আছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন।
মিয়ানমারের জান্তা এবং বেলারুশের প্রেসিডেন্ট, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা এবং আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপ্রধানও একই সারিতে। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণ কিংবা যোগদান সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
দেশটির সংসদ ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাজকীয় মর্যাদায় শায়িত রয়েছে রানির কফিন। ব্রিটেনের সাধারণ মানুষ এবং রানির ভক্তরা শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন এখানে। সরকার জানিয়েছে, রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে লন্ডনে লাইন ছড়িয়েছে পাঁচ মাইলেরও বেশি। কফিন দেখতে লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ১১ ঘণ্টার বেশি।