এবছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় শান্তি পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণা করে নরওয়ের নোবেল কমিটি।
নোবেল কমিটি তাদের বিবৃতিতে জানায়, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের নিজ নিজ দেশে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন। বহু বছর ধরে তারা ক্ষমতার সমালোচনা ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার অধিকারকে সমুন্নত করেছেন।
নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান বেরিত রাইস-অ্যান্ডারসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ক্ষমতার অপব্যবহারকে নথিবদ্ধ করতে তারা অসামান্য প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক সমাজের প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেন তারা।
বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করার আগে ধারণা করা হচ্ছিলো, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কথাকে স্বীকার করতে হবে নোবেল কমিটিকে।
গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান রাশিয়ান সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতোভ ও ফিলিপিনো সাংবাদিক মারিয়া রেসা।
আশির দশকের মাঝমাঝিতে বেলারুশে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূচনা হয় তার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি। তার প্রতিষ্ঠিত ‘ভিয়াসনা’ নামের সংগঠনটি রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর অত্যাচার নিয়ে কাজ করে।
এদিকে, ১৯৮৭ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মানবাধিকার কর্মীরা প্রতিষ্ঠা করেন মানবাধিকার সংগঠন মেমরিয়ালের। এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে ছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আন্দ্রেই শাখারভ ও মানবাধিকার কর্মী সভেৎলানা গানুশকিনা। অতীতের অপরাধকে মোকাবেলা করা ভবিষ্যতে অপরাধ রোধের চাবিকাঠি- এটিই এই সংগঠনের মূলমন্ত্র।
ইউক্রেনে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ নথিবদ্ধ করতে কাজ করছে সংগঠনটি।